হুগলী, ৪ অক্টোবর:- শিশু মনে কাঁদা ঘাটতে ঘাটতে তার মধ্যেই দেখতে পেত মায়ের রূপ। মায়ের প্রতি ছিল তাঁর নিগুণ ভালোবাসা। তাই কাঁদামাটির মধ্যে মা দুর্গাকে সে দেখতে পেতো। ছোটবেলায় তার কচি হাতে গড়ে তুলত মায়ের মূর্তি। সেই সময় সেই মূর্তি হয়তো অভিরূপ হত না, কিন্তু তাঁর সৃষ্টির মধ্যে ছিল আলাদা সুখ। আর সেখানেই ছিল যেন মা দুর্গার দশভূজা। তারপর সময়ের হাত ধরে সে কিন্তু কখনো মাতৃ আরাধনা বা মাতৃমূর্তি বানানো বন্ধ করেনি। মজার বিষয় হচ্ছে সে যেমন প্রতিমা গড়তো ভালোবেসে, তেমনি সেই প্রতিমাকে তার মত করে পূজা আর্চনা করতো। এই করতে করতে নদী দিয়ে পেরিয়ে গেছে বহু জল।
আজও ১৪ বছর ধরে প্রতিমা গড়ছে বৈদ্যবাটী চক গোয়ালা পাড়ার যুবক সৌগত ধোলে। তবে আকৃতির পরিবর্তন হয়েছে অনেকটাই। এবারে সেটা একচালার রূপ নিয়েছে। তার শিল্পসত্তার সাথে সাথে সৃষ্টি সুখের আনন্দে সে কিন্তু মা দূর্গাপূজা আরাধনা করে নিজের হাতে। প্রতিবছরের মতো এবছরও সে নিজের হাতে প্রতিমা করেছে। আমরাতো প্রতিমার কাছে প্রার্থনা করি সেটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু সৃষ্টির মধ্যে মাকে আরাধনা করা এবং পূজাআর্চনা করা মানে প্রতিমার মধ্যে সে জীবন দেখছে, এখানে মাতৃ প্রতিমা শুধু প্রতিমা নয়, তার সাথে সম্পর্ক আত্মার। স্থানীয় পুরোহিত রামকুমার ভট্টাচার্য তাকে জানায় ভক্তের ভক্তির কাছে নিয়ম নিষ্ঠা মন্ত্রপাঠের কোন প্রয়োজন নেই। সুতরাং নিজেই ১৪ বছর ধরে প্রতিমা গড়ে আর নিজেই পুজো করে মা- ছেলে অদৃশ্য বন্ধন গড়েছেন।