জেলা এই মুহূর্তে

হুগলির বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গায় পানীয় জল ঘোলা মেলায় ডিভিসির জল ছাড়াকেই দায়ী করলেন ফিরহাদ হাকিম।

সুদীপ দাস, ৪ অক্টোবর:- গত দু’দিন ধরে চুঁচুড়ার বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গায় ঘোলা জলের খবর মিলছিলো। কিন্তু রবিবার কলকাতা সহ হুগলী জেলার পৌর এলাকাগুলির কল থেকে ঘোলা জল বের হতে শুরু করে। যার জেরে বেশকিছু জায়গায় রীতিমত উত্তেজনা ছড়ায়। রবিবারই কলকাতার মহানাগরিক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোলা জলের জন্য অপরিকল্পিতভাবে ডিভিসির জল ছাড়াকেই দায়ী করেন। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবকটি পুরসভাকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী। এরপরই গঙ্গাতীরবর্তী হুগলীর উত্তরপাড়া থেকে বাঁশবেড়িয়া পর্যন্ত পুরসভাগুলির কর্তৃপক্ষ সাধারন মানুষের আতঙ্ক দূর করতে পথে নামেন। রবিবার জেলার একাধিক পুরসভা ঘোলা জলের কারন জানিয়ে মাইক প্রচারও করে। উত্তরপাড়া থেকে বাঁশবেড়িয়া পর্যন্ত মোট ১০টি পুরসভার মূলতঃ গঙ্গা লাগোয়া এলাকাগুলিতে এই ঘোলা জলের সন্ধান মেলে। কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে এই জল পানে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পাম্প চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুর-কর্তৃপক্ষগুলি।

এবিষয়ে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রশাসক গৌরিকান্ত মুখার্জী বলেন ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে একসাথে বিশাল পরিমানে জল ছাড়ায় জলাশয় গুলিতে জলের চাপ বেড়েছে। সেই জল বিভিন্ন খাল-বিল, নদী-নালা হয়ে গঙ্গায় মিশেছে। বেশী চাপ থাকায় জলে অতিরিক্ত পলি জমেছে। জল পরিশোধনাগারগুলিতে সেই অতিরিক্ত পলিস্তর কাটানোর ক্ষমতা না থাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে সেই ঘোলাটে জল বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে গেছে। তবে বিষয়টি নজরে আসতেই আমরা সাহাগঞ্জের রামকৃষ্ণ জল পরিশোধনাগার থেকে জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছি। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা মাটির নীচ থেকে বিশুদ্ধ জল তুলে তা সরবরাহ করছি। মাটির নীচ থেকে জল তোলার জন্য পুর এলাকায় মোট ৩৯ টি পাম্প রয়েছে। রামকৃষ্ণ পরিশোধনাগার চালু হওয়ার পর সেই সমস্ত পাম্পের বেশীরভাগই বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। আমরা ফের সবকটি পাম্প চালু করলাম। আশা করছি আগামীকাল থেকে গঙ্গার জলও পরিস্কার হয়ে যাবে। তবে তা না হওয়া পর্যন্ত আপাতত পাম্পের জলই চালু থাকবে। এবং একঘন্টা বাড়িয়ে সকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার পরিবর্তে ৭টা পর্যন্ত সরবারহ করা হবে।