এই মুহূর্তে জেলা

নাবালিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেবার অভিযোগে হাওড়ায় বিজেপি নেতার ছেলে গ্রেফতার।


হাওড়া, ২৩ সেপ্টেম্বর:- নাবালিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেবার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হাওড়া পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা বর্তমানে বিজেপি নেত্রীর ছেলে। বুধবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম আবাস মাসুদ খান। আবাসের বাবাও এলাকার প্রভাবশালী নেতা। গত বিধানসভা ভোটের আগে তিনিও শাসক দল ছেড়ে অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। আবাসের মা হাওড়া পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ এবং বর্তমানে বিজেপির নেত্রী। মৃত ছাত্রীর তদন্তে নেমে উঠে আসে আবাসের নাম। তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ঘটনাটি ঘটে বাঁকড়ার ফকিরবাগান এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত আবাসের অনেকদিন ধরেই সম্পর্ক ছিল।

তারা দুজনেই একই কলেজে পড়তেন। গত ৩১ জুলাই রাত্রি ৮টা নাগাদ অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। তার ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের ঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে একটি সুসাইড নোট। সেই সুসাইড নোটে চারজনের ফোন নম্বর পাওয়া যায়। ১ আগস্ট পোস্টমর্টেম হয়। এই ঘটনার পর মৃত ছাত্রীর মা লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর তদন্ত শুরু করে ডোমজুড় থানার পুলিশ। সেই সুসাইড নোটে ছিলনা আবাসের ফোন নম্বর। তদন্তে সুসাইডে উল্লিখিত চারজনকে জেরা শুরু করে। তাদের কাছ থেকেই পুলিশ জানতে পারে আবাসের সঙ্গে মৃত ছাত্রীর সম্পর্কের কথা।

বুধবার গভীর রাতে হাওড়ার সাঁকরাইলের নাজিরগঞ্জে নিজের বাড়ি থেকে আবাসকে ডোমজুড় থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় (আত্মহত্যার প্ররোচনা) মামলা রুজু করে। বৃহস্পতিবার তোকে হাওড়া আদালতে পেশ করলে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আবাসের বাবা ছেলের গ্রেফতার নিয়ে কিছু বলতে না চাইলেও তিনি জানান এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। তৃণমূল ছেড়ে ভোটের আগে তারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সে কারণেই তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে বলে তাঁর দাবি। ঠিক একই দাবি করেছেন বিজেপির হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহাও। তিনিও বিজেপি নেতার ছেলের গ্রেফতারি নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন।