এই মুহূর্তে জেলা

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আবারও উত্তপ্ত গোঘাট।

গোঘাট , ২১ সেপ্টেম্বর:- আবারও তৃনমুলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তল গোঘাট। একজন তৃনমুল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো দলেরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ গোঘাটের পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের তৃনমুল নেতা ফরিদ খানের অনুগামীরা নাকী নয়ন চ্যাটার্জী নামে এক তৃনমুল কর্মীকে মারধর করে।কয়েকদিন আগেও তাকে মারধর করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ। আবারও একই লোককে মারধর করা কেন হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বার বার পশ্চিমপাড়া অঞ্চলে তৃনমুল মুলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেড়ে মারপিট হওয়ায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।প্রসঙ্গ ক্রমে উল্লেখ করা য়ায়, রাজনৈতিক ভোট-পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। বিধানসভার নির্বাচনের পর তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক খেলা।

কয়েক বছর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার হিড়িক উঠেছিল। ঠিক একইভাবে তৃণমূল সরকার গঠনের পর বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূল এ যোগদান দিতে দেখা গেছে। তারপরই শুরু হয়েছে প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলেরই হাতে মার খেতে হচ্ছে আর এক তৃণমূল কর্মী কে। গোঘাটে আহত তৃনমুল কর্মী নয়ন চ্যাটার্জী জানান, এর আগেও মারধর করেছিলো। এবারও চা পান খেতে গিয়েছিলাম। ফরিদ খান দাঁড়িয়ে থেকে মারধর করে। রড ও বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। জব কার্ডের হিসাব চেয়েছিলাম বলে মারধর করে। বারবার কেন তৃনমুল নেতা নয়ন চ্যাটার্জীকে আক্রমণ করা হচ্ছে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই নিয়ে পুলিশের কাছে নাকি আগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এই বিষয়ে স্থানীয় এক তৃনমুল কর্মী জানান, পশ্চিমপাড়ার ঝড়িয়া বুথের ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে গন্ডগোল। হিসাব চাওয়া মারধর করা হয়। অপরদিকে পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের যুবর সভাপতি হাফিজুল মোল্লা জানান, ফরিদ খানসহ বেশ কয়েক জন মারধর করে। পুলিশ ও দলের কাছে অনুরোধ দোষী যেন শাস্তি পায়। অপরদিকে গোঘাট দুই নম্বর ব্লক তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি তপন মন্ডল জানান। দলীয় স্তরে যথাযথ ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশকেও বলা হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। পশ্চিমপাড়া অঞ্চলে এই ঘটনা কাঙ্ক্ষিত নয়। সবমিলিয়ে আহত নয়ন চ্যাটার্জি বর্তমানে আর মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন দেখার তৃনমুলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেড়ে গোঘাটের পশ্চিমপাড়া অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয়।