কলকাতা, ২১ সেপ্টেম্বর:- বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর তাঁর জেরেই দুর্যোগ নেমে এসেছে বঙ্গে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে খেল দেখাচ্ছে নিম্নচাপ। আর সেই খেলার জেরেই ভাসছে গোটা বঙ্গ। চিন্তায় ঘুম উড়েছে বহু মানুষের, চাষের জমি জলের তলায়। ভেঙেছে বহু বাড়ি। ঘরছাড়া বহু মানুষ, আর এই অবস্থায় পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। নিম্নচাপের কারণে অতিবৃষ্টির ফলে বেশ কয়েকটি জেলায় জলমগ্ন হয়েছে। এর জন্য ৫৭৭ টি ত্রাণ শিবির চলছে। যেখানে আশি হাজারের বেশি মানুষ রয়েছেন। ১ লক্ষ ৪১ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে নিরাপফ স্থানে। প্রত্যেক জেলাশাসককে আপাতত আপৎকালীন ফান্ড দিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য। ২৪ ঘন্টার জন্য নবান্ন চলছে কন্ট্রোল রুম। যার টোল ফ্রি নাম্বার ১০৭০ ২২১৪৩৫২৬। ৬০,০০০ ত্রিপল দেওয়া হয়েছে।
গত ১৪ তারিখ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত জলে ডুবে দেওয়াল ধসে এবং তড়িতাহত হয়ে ১৪ জন মারা গিয়েছেন। যার মধ্যে ৬ জন দেওয়াল চাপা পড়ে এবং আটজন জলে ডুবে মারা গিয়েছেন। আটজনের মধ্যে সাতজন পশ্চিম মেদিনীপুর এবং একজন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের অরবিন্দ জানা নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৪৭ টি ব্লক এবং আটটি পুরসভা জলমগ্ন রয়েছে। মোট ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৩২৮ জন মানুষ জল বন্দি রয়েছেন। ১ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নবান্নের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে এটাই জানানো হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে এখনই বঙ্গে বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগ পিছু ছাড়বে না। আগামী বুধবার পর্যন্ত চলবে এই বৃষ্টির ব্যাটিং। কলকাতায় জারি হয়েছে কমল সতর্কতা। তাই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গের মানুষকে।