খানাকুল, ২১ সেপ্টেম্বর:- লোকালয়ে বিষাক্ত বিরল প্রজাতির কোবরা, আতঙ্কিত স্থানীয়রা। প্রকৃতি নিজেকে পাল্টে নেওয়াতে, প্রকৃতির বুকে খেলে বেড়ানো জীব জন্তুও তরতাজা হয়ে উঠেছে। তবে মাঝে মাঝে খাদ্যের টানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বিরল প্রজাতির কিছু প্রানী। এই রখম এক দৃশ্য দেখা গেলো হুগলির খাবাকুলের গান্ধী আশ্রম এলাকায়। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, দিনের বেলায় একটি বিরল প্রজাতির কোবরা সাপ দেখা যায়। এই সাপটি বাংলা জুড়ে গোখরো নামে পরিচিত। জানা গিয়েছে, এই সাপটি দেখেই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বনদপ্তরের কর্মীরা। তৎপরতার সঙ্গে সাপটি উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য কোবরা শব্দটি পর্তুগিজ, যেটি সাপকে বোঝানো হয়। এটি এলাপিডি পরিবারের, সাধারণত নাজাগণের বিষধর অনেক সাপ আছে যাদের ফণা থাকে, যেমন গোখরা, কেউটে, মিশরীয় কোবরা, চীনা কোবরা ইত্যাদি।
জীব বিদ্যাগতভাবে কোবরা নামটা কিন্তু ইংরাজি নামের মধ্যে কোবরা এসে গেছে। এমন কিছু সাপ আছে যেমন কিং কোবরা বা শঙ্খচূড় খুবই বিষাক্ত। এদিন গোখরো সাপটিকে তিনি লোকালয় থেকে উদ্ধার করে জঙ্গলে নিয়ে চলে যান। জানা গেছে, খানাকুলের গান্ধী আশ্রম এলাকার বাসিন্দা গণেশ দোলুইয়ের বাড়ি থেকে এই সাপটি উদ্ধার হয়। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সকালবেলা ফোনের মাধ্যমে জানতে পারলাম একটা গোখরো সাপ জালে জড়িয়ে গেছে। সাপটি না মেরে বনদপ্তরে খবর দেওয়া হয়। সাপটিকে তারা উদ্ধার করে নিয়ে যায়।অপরদিকে বনদপ্তরের এক কর্মী জানান, সাপটি না মেরে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়ায় এখানকার মানুষকে ধন্যবাদ দেবো। প্রকৃতিতে সকলকে প্রয়োজন। প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাপ না মেরে তাকে প্রকৃতির বুকে ছেড়ে দিন। সাপ কামড়ালে সরকারি হাসপাতালে যান, মানুষের মৃত্যু হবে না। সবমিলিয়ে লোকালয়ে বিষাক্ত কোবরা প্রবেশ করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার মানুষ। তবে বনদপ্তরের তৎপরতায় সাপটি উদ্ধার হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।