এই মুহূর্তে জেলা

নিখোঁজ বৃদ্ধকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে ফিরিয়ে দিলেন রেড ভলেন্টিয়ার্সের কর্মীরা।

হাওড়া, ৩০ আগস্ট:- সংবাদপত্রে নিরুদ্দেশ কলামে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল গত ১৭ আগস্ট থেকে তিনি নিখোঁজ। থানাতেও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। কিন্তু হাওড়ার বাসিন্দা ৭০ বছরের বৃদ্ধ অসিত কুমার সাহার কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষমেশ ত্রাতার ভূমিকায় পাওয়া গেল করোনাকালে মানুষের ‘ভরসা’ রেড ভলেন্টিয়ার্সের কর্মীদের। তারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে বহু চেষ্টায় ওই নিখোঁজ ব্যক্তির বাড়ির ঠিকানা খুঁজে বের করে তাঁকে পৌঁছে দিয়েছেন পরিবারের কাছে। রেড ভলেন্টিয়ার্স টিমের অন্যতম লিডার সোমনাথ গৌতম বলেন, মানুষের বিপদে পাশে থাকাটাই আমাদের কাজ। যেখানে ওই বয়স্ক ব্যক্তির কেউ সন্ধান দিতে পারেনি, এমনকি উনি নিজের ঠিকানাও জানাতে পারেননি, সেখানে আমরা বহু চেষ্টা করে তাঁর বাড়ির ঠিকানা খুঁজে বের করে তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি।

রবিবারের সকালটা অনেক ব্যস্ততার মধ্যে কাটলেও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পশ্চিম হাওড়ার কদমতলার পাবলিক লাইব্রেরির সম্পাদকের ফোন আসে আমার কাছে। উনি জানান এক বয়স্ক ব্যক্তি কয়েকদিন ধরে কদমতলার পাবলিক লাইব্রেরির সামনে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছেন। সেই খবর শুনেই আমি আমার রেড ভলেন্টিয়ার্স টিমের সদস্য সায়ন, বনি, প্রসাদ, বাপিদা, প্রসেনজিৎ ও বান্টিকে নিয়ে ছুটে যাই ওই অসুস্থ ব্যক্তির কাছে। জিজ্ঞেস করে জানতে পারি ওনার নাম অসিত কুমার সাহা। বাড়িটা উনি ঠিকঠাক বলতে না পারায় আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হই। প্রশাসন থেকে ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা জানায়। এরপর আমরা দেরি না করে পশ্চিম হাওড়া রেড ভলেন্টিয়ার্স টিম নিয়ে নেমে পড়ি ওই ব্যক্তির আসল পরিচয়ের সন্ধানে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যায় উনি কদমতলার ঠাকুরদাস ১ম বাই লেনের বাসিন্দা।

ওনার দাদার নাম দুলাল সাহা। ওখানে গিয়ে খোঁজ করতে শেষমেষ পাওয়া যায় ওনার বাড়ি। পরিবারের কাছ থেকে জানতে পারি অসুস্থ ওই ব্যক্তি গত ১৭.০৮.২০২১ থেকে নিখোঁজ। উনি ঘটনার দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। ওনার পরিবারের পরিবারের তরফে ভাই থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন এবং কাগজে নিরুদ্দেশ বিজ্ঞাপনও দেন। কিন্তু কোথাও অসিতবাবুর খোঁজ পাননি তাঁরা। এরপর আমরা ওনার দাদাকে ডেকে অসিতবাবুকে ওনার পরিবারের হাতে তুলে দিই। পরিবারের লোকেরাও খুশি তাঁকে ফিরে পেয়ে। আমরাও চাই উনি আবারও সুস্থ হয়ে উঠুন। মানুষের জন্যে কাজ করতে পেরে আমরাও খুশি।আমরা বলি, “বাংলা নিশ্চিন্তে ঘুমাক, রেড ভলেন্টিয়ার্সরা সর্বদা জেগে আছে আপনাদের সেবায়।”