Uncategorized এই মুহূর্তে জেলা

স্বাধীনতার পরেও সিঙ্গুরের পাওনান গ্রামে পারাপারের ভরসা সেই বাঁশের সেতুই , আশ্বাস মিললেও হলো না পাকা সেতু।

হুগলি, ২৭ আগস্ট:- স্বাধীনতার ৭৫ বছর, কিন্তু স্বাধীনতার আনন্দ পেলেও অনেকটাই স্থলভাগ ও জলভাগ হয়ে গেছে তাদের জীবন। তাদের স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্ন প্রতিনিয়ত দেখেন সিঙ্গুর আনন্দনগর গ্রামপঞ্চায়েতের পাওনান এলাকার ঘোষালপুর হাঁড়িকাটা গ্রামের মানুষ। এই গ্রামে প্রায় তিন হাজার মানুষের বসবাস। যাতায়াতের এক মাত্র ভরসা এই বাঁশের ব্রীজ। মিলেছে বহু নেতার প্রতিশ্রুতি। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কথায় আছে আশায় মরে চাষা। তেমনটাই হয়েছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের।

কারন দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তারা আশা করে গেছে একটা পাকাপোক্ত ব্রীজের। ৫০ বছরেও হয়নি ব্রীজ। তাই দুপারের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল বাঁশের তৈরী সেতু। আর এই সেতু সারা বছর মানুষের নিরাপত্তা দেয়। যাতায়াতের কাজে লাগে তা নয়। এক প্রকার জীবনকে হাতে করে এখানকার ছাত্র থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধ -বৃদ্ধাদের দিন যাপন। দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে একাধিক সময়, একাধিক মানুষ। কিন্তু তবু তারা স্বপ্ন দেখে বাঁশের ব্রীজ হয়তো কোন একদিন কংক্রিটের আকার নেবে। কিন্তু সেটা কবে। সেটা নিয়ে চিন্তায় গ্রামের মানুষ।