এই মুহূর্তে জেলা

তৃণমূল বিধায়কের কার্য্যালয়ের উদ্বোধনে বাধাদানের অভিযোগ। হাওড়ার সাঁকরাইলে উত্তেজনা।

হাওড়া, ৯ আগস্ট:- হাওড়ার সাঁকরাইলের চাঁপাতলায় সোমবার সকালে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পালের অফিস উদ্বোধন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। স্থানীয় কিছু লোকজন এসে তাঁকে বাধা দেন বলে অভিযোগ। বিধায়কের অভিযোগ, বিজেপি লোকজন এনে গন্ডগোলের চেষ্টা করেছে। বাইরে থেকে গেটে তালা আটকে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছে। এর সঙ্গে দলের যোগ নেই বলে বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কয়েকজনকে আটক করা হয় এই ঘটনায়। ঘটনা সম্পর্কে সাঁকরাইল কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পাল বলেন, “বিধায়ক হিসেবে এদিন আমার কার্য্যালয়ের উদ্বোধনের সময় বিজেপির কিছু লোকজন এসে গন্ডগোলের চেষ্টা করে। বিজেপির বক্তব্য, ওরা আমাকে এখানে বিধায়কের অফিস করতে দিতে রাজি নয়। এখানে বিজেপির যে সদস্য আছেন, তিনি কিছু লোকজন এনে এখানে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন।

আমি সে সময় অফিসের ভিতরে ছিলাম। বাইরে থেকে এসে ওরা তালা লাগিয়ে দিলো। এরপর পুলিশ এসে চাবি খুলেছে। আমি স্থির করেছি সপ্তাহে তিনদিন সোম, বুধ ও শুক্র একঘন্টা করে এই কার্য্যালয় থেকে মানুষকে পরিষেবা প্রদান করব। এটা কিন্তু আমাদের দলের কোনও পার্টি অফিস নয়। সাঁকরাইল চাঁপাতলায় এটা বিধায়কের কার্য্যালয়।মানুষ যাতে পরিষেবা পায় তারজন্যই এখানে এই অফিস করা হলো। এখানে কমার্শিয়াল ডোমেস্টিকের কোনও ব্যাপার নেই। এখানে বাণিজ্যিক দোকান, ব্যাঙ্ক সবই রয়েছে। অনেক মানুষ আসাযাওয়া করছেন। কারও কোনও তাতে সমস্যা নেই। তাহলে বিধায়কের কার্য্যালয় নিয়ে কিসের সমস্যা ? মানুষ পরিষেবা পাবেন এখান থেকে। বিজেপি সেটা মানতে পারছে না। এটা ত্রিপুরা নয়। এটা বাংলা। ওদেরকে এটা মনে রাখতে হবে।” অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাঁকরাইলের বিজেপি নেতা প্রভাকর পন্ডিত জানান, “বিজেপির লোকজন বিধায়ককে বাধা দিয়েছেন এই অভিযোগ অসত্য।

সাঁকরাইল চাঁপাতলায় একটি আবাসন ( ফ্ল্যাট ) রয়েছে। সেখানে আমাদের দলের মন্ডল প্রেসিডেন্টও থাকেন। ওই আবাসনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আবাসনের বাসিন্দাদের ব্যবহারের জন্য একটি সর্বজনীন গ্যারেজ ছিল। সেই গ্যারেজের মধ্যে বিধায়ক অফিস করছিলেন। সেই কারণে আবাসনের বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ করেন। আমাদের মন্ডল প্রেসিডেন্ট ওই আবাসনের বাসিন্দা হিসেবে তিনিও এর প্রতিবাদ জানান। এখানে কেন অফিস করছেন বলে তিনিও বিধায়ককে তাঁর আপত্তির কথা জানান। এই নিয়ে তৃণমূলের কার্যকর্তারা এসে আবাসনের বাসিন্দাদের বাধা দেয়। বাইরে থেকে প্রচুর লোকজন আবাসনে ঢুকছিলেন। ওইজন্য মেন গেটে আবাসনের লোকজন চাবি লাগিয়ে দেন। পরে তালা খুলে দেওয়া হয়। পুলিশ এসে কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।”