এই মুহূর্তে জেলা

জল বাঁচাও , প্রকৃতি বাঁচাওয়ের লক্ষ্যে রিক্সাযোগে সিয়াচেনের পথে বাংলার সত্যেন !

সুদীপ দাস , ৪ আগস্ট:- অভাবের তাড়নায় সাইকেল নিয়ে ভ্রমন শুরু দক্ষিন ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার সত্যেন দাসের। ৯০ এর দশকে সাইকেল সহযোগে দার্জিলিং থদকে পুরী ভ্রমন শুরু। এরপর ১৯৯৫ সালে সাইকেল করে সমগ্র দেশ ভ্রমন করেন সত্যেন। তবে সেইসমস্ত ভ্রমনের উদ্দেশ্যই ছিলো দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে কোন না কোন বার্তা। তাই নিজের দারিদ্র মেটানোর প্রবল ইচ্ছাও ছিলো সত্যেনের। সেজন্যই একটু বেশী রোজগারের আশায় বারুইপুর ছেড়ে দক্ষিন কলকাতার নাকতলা গীতাঞ্জলি থেকে পায়ে টানা রিক্সা চালানো শুরু করেন সত্যেন দাস। আর পাঁচটি মফঃস্বলের রিক্সাচালকদের তুলনায় রোজগারও বাড়ে সত্যেনের।

সেই রোজগারের ভরসায় ২০০৩ সালে বিবাহ বদ্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সাইকেলে বেড়ানোর অভ্যাসটা ছিলো, ইচ্ছাও ছিলো স্বচ্ছভাবে আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল হওয়ার। সেই ইচ্ছাতেই সত্যেনের রিক্সার চাকাও অন্যান্য রিক্সার চাকার থেকে বেশী ঘুরতে শুরু করে। ফলে রিক্সাস্ট্যান্ডেও ব্যাতিক্রমী মুখ হয়ে ওঠে সত্যেন। সেই ব্যাতিক্রমী পরিচয়েই ২০০৭ সালে স্ত্রী ও আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে রিক্সা সহযোগে সত্যেনের প্রথম পারিবারিক ভ্রমন। গন্তব্যস্থল ছিলো পুরী। পরিবার নিয়ে সুষ্ঠভাবেই সেই ভ্রমনযাত্রা সফল করেন সত্যেন। আর সেই যাত্রা থেকেই বিশিষ্ট নাগরিকদের সান্নিধে আসা। যাদের থেকে বিশ্ববাসীর সমস্যার কথা সম্পর্কে অবগত হওয়া।

এরপর ভ্রমন জারি রাখেন সত্যেনবাবু। কিন্তু ভ্রমনের উদ্দেশ্য বদলে যায়। ২০১৩ সালে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সমাজকে বার্তা দিতে কোলকাতা থেকে লাদাখ রিক্সা সহযোগে যাত্রা করেন সত্যেনবাবু। আর এবারে সেই রিক্সা নিয়েই সুদুর সিয়াচেনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। গত রবিবার কোলকাতার একটি বাইকারস ক্লাবের উদ্যোগে নিউটাউন থেকে সেই যাত্রার সুচনা করেন মন্ত্রী সুজিত বসু। এবারে সত্যেনবাবুর যাত্রার উদ্দেশ্য জল বাঁচাও, প্রকৃতি বাঁচাও! বুধবার সকালে হুগলীর উপর থেকে সেই রিক্সা জিটি রোড ধরে সিয়াচেনের দিকে এগিয়ে গেলো।