এই মুহূর্তে জেলা

রাখে হরি মারে কে , মৃত্যু মুখ থেকে জীবন উপহার আরামবাগে , ত্রাতা এন,ডি,আর,এফ।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ৩ আগস্ট:- রাখে হরি তো মারে কে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলাধার থেকে ছাড়া জলে ভয়ংকর বন্যায় জলবন্দি হয়ে পড়েছে বাড়ি। চারিদিকে শুধু জল আর জল। এই রখম এক পরিস্থিতিতে গর্ভবতী মহিলার হঠাৎ প্রসব যন্ত্রা শুরু হয়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি না করলে বিপদ হতে পারে। এই সময় ত্রাতার ভুমিকায় অবর্তীন হয় হুগলির আরামবাগের এনডিআরএফের দল। খবর পেয়েই স্পিডবোট নিয়ে হাজির। জলের ভয়াবহ স্রোতকে উপেক্ষা করে বন্যার জলে বন্দি গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়। জানা গিয়েছিল খানাকুলের কিশোরপুর দুই নম্বর অঞ্চলের চুয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা রনজিৎ শাসমানের স্ত্রী সুমনা শাসমান গর্ভবতী ছিলেন। বন্যার জেড়ে বাড়ির চারিদিক এক বুক জল হয়ে যায়। তাদের পরিবারসহ পুরো গ্রাম জলবন্দী হয়ে পড়ে দ্বারকেশ্বর নদীর জলে।ভয় তো ছিলই। বন্যার জলে এলাকা প্লাবিত হওয়ায় গর্ভবতী স্ত্রীকে কিভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন সেই চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েন রনজিৎ। হঠাৎ প্রসব যন্ত্র শুরু হয়।

বাড়ির সকল সদস্যসহ রনজিৎ বাবু কি করবেন ভেবে অস্থির হয়ে পড়েন। দিশে হারা অবস্থায় তাদের বন্যার জলের ভয়াল দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে প্রমোদ গুনতে থাকেন। এই রখম এক পরিবারে অসহায় অবস্থার কথা জানতে পেরে আরামবাগ এনডিআরএফের ইন্সপেক্টর রাজকুমার শীলের নেতৃত্বে একটি দল স্পিডবোট নিয়ে হাজির হয়। দ্রুত খানাকুলের কিশোরপুরের চুয়াডাঙ্গা থেকে উদ্ধার করে বসন্তবাটি স্থাস্থ্য কেন্দ্রের পৌঁছে দেয়। পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে একজন প্রসুতি মহিলা সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু প্রবল জল স্রোতে খানাকুলের কাঁছড়া মোড়ের কেশরপারের আটকে পড়েন।বন্যা দুর্গতদের জন্য সেই এনডিআরএফের দলটি ত্রাণ বিলি করছিলেন। সেই সময় তা জানতে পেরে দ্রুত বোট নিয়ে ঘটনাস্থালে যান। প্রসুতি মহিলা শ্যামাশ্রী পন্ডিত ও তার সদ্যজাত সন্তান ও তার স্বামী সুভাষ চন্দ্র পন্ডিত সহ বাড়ির আর দুই সদস্যকে উদ্ধার করে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার প্রবল জলস্রোতে বোট চালিয়ে ঠাকুরানিচক গ্রামে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয় এনডিআরএফের দল।

এই বিষয়ে এনডিআরএফের ইন্সপেক্টর রাজকুমার শীল জানান, বন্যার জলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে খানাকুল। আমাদের এনডিআরএফের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বন্যা দুর্গত মানুষদের উদ্ধার কার্য চালাছে। খবর পেয়েই দুই গর্ভবতী মহিলাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। এমনকি খবর পেয়ে খানাকুলের ওই ঠাকুরানিচক থেকেই তোতা ভৌমিক নামে এক গুরুতর অসুস্থ এক মহিলাকেও উদ্ধার করে স্থাস্থ্য কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্লাবিত এলাকায় এনডিআরএফের দল এখনও মোতায়েন আছে এবং ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। সবমিলিয়ে আরামবাগের বন্যা দুর্গত অঞ্চলে নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে এনডিআরএফ কাজ করায় সাধুবাদ জানায় এলাকার মানুষ।