এই মুহূর্তে জেলা

খানাকুলে বন্যা কবলিত মানুষদের উদ্ধারের কাজে প্রশাসন , সেইসময় অন্যচিত্র দেখা গেলো গোঘাটে।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ১ আগস্ট:- হুগলি খানাকুলে একদিকে যখন ভয়ঙ্কর বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের উদ্ধার কার্যে নেমেছে প্রশাসন অন্যদিকে অন্যচিত্র দেখা গেলো গোঘাটের মথুরা এলাকায়। বন্যা জল কমতেই গ্রামের বহু মানুষকে জাল ফেলে মাছ ধরতে দেখা গেলো। কয়েক মিনিটের মধ্যেই জালে পড়তে দেখা গেলো রই, কাতলা,পুঁটি ও শোল ও বোল মাছ।গ্রামের বহু যুবক থেকে বয়স্ক ব্যক্তিকে এক সাথে বন্যার জলে মাছ ধরতে দেখা যায়।পথ চলতি বহু মানুষ তা দেখতে রীতিমতো ভির জমায়। আরামবাগ থেকে বালিদেওয়ানগঞ্জ যেতে পড়ে মথুরা গ্রাম। এই গ্রামটি টানা বৃষ্টির জল ও দ্বারকেশ্বরনদীর জল পার উপচে প্লাবিত করে। এদিন সকাল থেকেই জল নামতে শুরু করে।

সেই জলের স্রোতে ভেসে আসতে থাকে অসংখ্য মাছ। আর তা ধরতেই গোটা গ্রাম যেমন ঝাপিয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে গোঘাটের প্লাবিত এলাকায় বহু পুকুর ভেসে যায়। মাঠে মাঠে বহু মাছ জলে স্রোতে৷ জলে আসে। আর জলে স্রোতে জাল পাতলেই তা ধরা পড়ে। এই ওই গ্রামের বাসিন্দা হারাধন লাহা জানান, বন্যার জলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বহু ধান জমি জলের তলায়। গ্রামের ভিতর মাটির বাড়ি সব পড়ে গেছে। তবে জল একটু কমতেই আমরা বাড়ির বাইরে বের হয়ে দেখি বন্যার জলের সাথে অসংখ্য মাছ ভেসে যাচ্ছে। এই খবর পেয়ে গ্রামের যুবকেরা মাছ ধরতে নেমে পড়েছে। অপরদিকে ওই গ্রামের এক যুবক জানায়, বন্যার জলে এত মাছ এলাকায় চলে আসবে ভাবা যায় না।তবে বন্যার জলে বহু জলাশয় ভেসে যাওয়ায় মাঠে মাঠে চলে এসেছে। তাই গ্রামের যুবকেরা আনন্দের সাথে এই সব মাছ ধরছে।