এই মুহূর্তে জেলা

প্রয়াত স্বামীর মূর্তি উদ্বোধনে তৃণমূল , নিমন্ত্রন না পেয়ে আক্ষেপ বিজেপি নেত্রীর !

সুদীপ দাস , ২২ জুলাই:- সালটা ১৯৯৬, সে সময় হুগলীতে সপ্তগ্রাম বিধানসভার জন্ম হয়নি। সপ্তগ্রামের জায়গায় ছিলো বাঁশবেড়িয়া বিধানসভা। সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত ছিলো এই বিধানাভা। ১৯৯৬ সালে এই বিধানসভার চার বারের সিপিএমের বিজয়ী প্রার্থী প্রবীর সেনগুপ্তকে হারিয়ে বাজিমাত করেন তৎকালীন কংগ্রেস নেতা রবীন মুখার্জী। পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ সঙ্গী হিসাবে পরিচিত রবীনবাবু তৃণমূলে যোগদান করেন। জেলায় রবীন মুখার্জী বরাবরই জননেতা হিসাবে পরিচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবেই ২০০৫ সালের ২৩শে জুলাই শারীরিক অসুস্থার কারনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রান হারান রবীনবাবু। কিন্তু জেলার রাজনীতিতে রবীনবাবুর নাম আজও সর্ব্বজনবিদীত। প্রয়াত নেতার মৃত্যুর পর রবীনবাবুর সহধর্মীনি তথা শিক্ষিকা সুমা মুখার্জীকে সকলে তৃণমূল হিসাবেই জানতেন। কিন্তু চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সুমাদেবী বিজেপিতে যোগদান করেন। যদিও নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর বিজেপির কোন কর্মসুচিতে সেভাবে দেখা যায়নি সুমাদেবীকে। আগামিকাল রবীন মুখার্জীর প্রয়ান দিবস উপলক্ষে সাহাগঞ্জে

একদা প্রয়াত নেতার দলীয় কার্যালয়ের সামনেই তাঁর মর্মর মূর্তি স্থাপন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিনকয়েক ধরে সুমা মুখার্জীর আবাসনের সামনে সেই কর্মসূচির প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। যা নিয়ে সুমাদেবীর বক্তব্য আমি বিজেপিতে যেতেই পারি কিন্তু আমার স্বামী তো জননেতা ছিলেন, তিনি সকলের জন্যই কাজ করতেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর হলেও আমার স্বামীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এটা ভেবে যেমন ভালো লাগছে, তেমনই আমার পরিচিত পুরনো তৃণমূল নেতারা একবার আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলো না, এটা ভেবে সত্যিই খারাপ লাগছে। আমাকে আমন্ত্রন জানালে আমি নিশ্চই যেতাম। যদিও এবিষয়ে রবীনবাবুর মূর্তি উদ্বোধনের মূল উদ্যোক্তা চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন রবীন বাবু তৃণমূলের সম্পদ ছিলেন সেটা যেমন সত্যি, রবীনবাবুর স্ত্রী হিসাবে উনি বিজেপিতে যোগদান করেছে এটাও তেমন সত্যি। আসলে অনুষ্ঠানটা তৃণমূলের। আর সুমাদেবী অর্থাৎ আমারদের বৌদি বর্তমানে বিজেপির সদস্য সেটাও সত্যি। বৌদি আগে তৃণমূলে যোগদান করলে ওনাকে দিয়েই জননেতার মূর্তি উদ্বোধন করাতাম।