এই মুহূর্তে জেলা

২১ শে জুলাইয়ের পাল্টা জেলা জুড়ে শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন বিজেপির।

হুগলি , ২১ জুলাই:- তৃণমূলের ২১ শে জুলাইয়ের পাল্টা বিজেপির শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন হলো সারা রাজ্য জুড়ে। সেই মতো হুগলির প্রতিটি বিজেপির সাংগঠনিক জেলায় এই শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস পালিত হয়।বিজেপি সূত্রে খবর, কলকাতায় হেস্টিংস অফিসে দুপুর দেড়টায় একটি ভার্চুয়াল সভা হয় । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজ্য স্তরের বিজেপি নেতৃত্ব এই সভায় বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি দিল্লির রাজঘাটে সকাল দশটায় দিলীপ ঘোষ ধর্নায় বসেন। গনতন্ত্র বাঁচাও পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও প্ল্যাকার নিয়ে বিজেপি কর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবসে অংশ নেন।ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে বক্তব্য শোনেন হুগলি জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির দাবি, কেবল মাত্র ২রা মে-এর পর বিজেপির ৪৩ জন বিজেপি কর্মী রাজনৈতিক হিংসায় বলি হয়েছেন ।

১৮৩ জনের মতো বিজেপির কার্যকর্তা খুন হয়েছে রাজনৈতিক ভাবে। তাই বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিজেপির ৩৮ টি সাংগঠনিক জেলাতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।পাশাপাশি প্রতিটি জেলার বিজেপির শহিদ পরিবারগুলির পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়। এদিন হুগলি জেলার বিজেপির চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলায় শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস পালিত হয়। আরামবাগের দৌলতপুরে বিজেপির কার্যালয়ে পুড়শুড়ার বিধায়ক তথা বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ শহীদবেদী ও শহীদ বিজেপি কর্মী ছবিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান।পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন গোঘাট বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক, আরামবাগ বিধায়ক মধুসূদন বাগ, বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।

এই বিষয়ে বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, সারা রাজ্য জুড়ে আমাদের এই গনতন্ত্র বাঁচাও পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি হচ্ছে। তৃনমুলের দ্বারা আমাদের ১৮৩ জন কার্যকর্তা খুন হয়েছে। তাই এই দিনটা শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস হিসাবে পালন করছি। অন্যদিকে শ্রীরামপুর বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বোস জানান ভোট পরবর্তী হিংসায় আমাদের ৪৩ জন বিজেপি কর্মী,সমর্থককে হত্যা করা হয়।তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই আমাদের এই শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস পালন। আমাদের প্রতিটি বুথে ও জেলা কার্যালয়ে এই দিনটি মর্যাদার সাথে পালিত হয়।সবমিলি এদিন একদিকে তৃনমুলের শহীদ দিবস পালন অন্যদিকে বিজেপি শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস পালনকে ঘিরে চাপা রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিলো হুগলি জেলা জুড়ে।