হুগলি, ১৭ জুলাই:- আশা ছিলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই বছর যদি শ্রাবনি মেলা হয় তাহলে হুগলির তারকেশ্বরে বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢালবেন ভক্তরা। কিন্তু করোনার কাঁটা শ্রাবনীমেলাতেও। বিগত বছরের মতো এবারেও শ্রাবনী মেলা হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিলেন তারাকেশ্বর মন্দিরের মঠাধীশ দন্ডী স্বামী সুরেশ্বর আশ্রম মহন্ত মহারাজ। আগেই প্রশাসনের তরফ থেকে শ্রাবনী মেলা হবে না বলে জানিয়ে দিলেও মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ঠিক কি তা জানা যায়নি। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষও শ্রাবনী মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন করোনা পরিস্থিতির কারণে। তবে মন্দির খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে জল যাত্রা তথা বাঁক যাত্রা বা কাওড় যাত্রা। গত বছর একই কারণে শ্রাবনী মেলা বন্ধ ছিল এবং মন্দিরও সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছিল, তবে এবারে মেলা বন্ধ হলেও মন্দির খোলা থাকবে পূজা দিতে পারবেন ভক্তরা।
মূলত গুরু পূর্ণিমা থেকে শুরু হয় শ্রাবণী মেলা এবং শেষ হয় রাখি পূর্ণিমা তে।শ্রাবনী মেলা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় তারকেশ্বরে। বিশেষ করে সোমবার তিল ধারণের জায়গা থাকে না তারকেশ্বর শহরে। মহন্ত মহারাজ জানিয়েছেন প্রশাসনিক স্তরে চিঠি দিয়ে মেলা বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং শ্রাবণ মাসে হুগলি জেলার সমস্ত গঙ্গার ঘাট বন্ধ রাখার আবেদনও জানানো হয়েছে।মহারাজ আরো জানান হুগলি জেলার সমস্ত শিব মন্দিরে জল যাত্রা বা কাওড় যাত্রা বন্ধ রাখতে হবে, জেলার কোনো শিব মন্দিরে যদি জল যাত্রা হয় তাহোলে তারাকেশ্বর মন্দিরও জল যাত্রার জন্য খুলে দেওয়া হবে।প্রশাসন কে তীক্ষ্ণ নজর দাড়ি রাখার জন্য আবেদন করা হয়েছে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে।অন্যদিকে জাল যাত্রা বা কাওড় যাত্রা বন্ধ থাকলেও মন্দির খোলা থাকবে ভক্তদের জন্য এবং বাবার মাথায় চোঁঙার মাধ্যমে জল ঢালতে পারবেন ভক্তরা।
প্রতিদিন ২০০ জন ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন মন্দিরে। তবে মন্দিরের গেটে কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে পৌর সভা এবং ব্লক আধিকারিককে। অন্য দিকে মন্দির খোলার সময় সীমা আগের থেকে বাড়ানো হয়েছে। সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১ টা পযন্ত ছিল মন্দির খোলার সময় এবার সেখানে সকাল ৫:৩০ থেকে দুপুর ২ টো পযন্ত মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গর্ভ গৃহ আগেও যেমন বন্ধ আছে এখনো বন্ধ থাকবে। শ্রাবনী মেলার ক্ষেত্রে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে যা যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জেলা শাসক এবং মুখ্যমন্ত্রী কে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহন্ত মহারাজ। সবমিলিয়ে বিগত বছরও মতো এবারও করোনার প্রকোপ থেকে এলাকার মানুষকে বাঁচাতে তারকেশ্বরের শ্রাবনী মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ।