এই মুহূর্তে জেলা

চুঁচুড়া হসপিটালে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলেন লকেট।

সুদীপ দাস, ১৮ জুন:- দুদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অচৈতন্য অবস্থায় এক কিশোরীর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো। কিশোরীর শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভদ্রেশ্বর থানার অন্তর্গত চন্দননগর নবগ্রাম এলাকায়। বর্তমানে ওই কিশোরী চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বছর ১৫-র ওই কিশোরীর বয়ান অনুযায়ী গত মঙ্গলবার রাতে বাড়ির কাছে দোকান যাওয়ার সময় চন্দননগর খলিসানীর যুবক পার্থ চক্রবর্তী (২৫) তাঁকে বলপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর কোন একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। সে বাঁধা দিতে গেলে তাঁর ওড়না গলায় পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে দেয় পার্থ। এরপর ওই কিশোরী জ্ঞান হারায়। তারপর কি হয়েছে ওই কিশোরী কিছুই জানে না বলে জানায়।

বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি নর্দমার কালভার্টের নীচে ওই কিশোরীকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাঁরাই কিশোরীকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। বিকেলে খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিজেপির রাজ্য কমিটির সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ চুঁচুড়া হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতা কিশোরীর সাথে কথা বলে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারের সাথে কথা বলে মামলা শুরু করে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পার্থ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে চুঁচুড়া হাসপাতালে উপস্থিত হন হুগলীর সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জী। এদিন নির্যাতিতা ওই কিশোরি সহ তার মায়ের সাথে কথা বলেন সাংসদ। সাংসদ বলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হলেও এখানে নারীরা সুরক্ষিত নয়। প্রতিদিন এখানে নারীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে।