হাওড়া, ১৭ জুন:- করোনা সংক্রমণ রুখতে হাওড়ার কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে আজ থেকে কড়া নজরদারি শুরু করল পুলিশ। এলাকাগুলি চিহ্নিত করে নাকা চেকিং চলছে। কোথাও গার্ডরেল দিয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতেই হাওড়ায় কন্টেনমেন্ট জোনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে কঠোর প্রশাসন। হাওড়ায় ক্রমশ কমছে করোনা সংক্রমণের হার। তার মধ্যেও এই জেলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ২০০র বেশী রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ আরও কমাতে আবারও ফিরিয়ে আনা হল কন্টেনমেন্ট জোন। বৃহস্পতিবার ঘোষণা হল কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকা। রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ জুন পর্যন্ত জারি থাকবে বিধিনিষেধ। এই সময়ের মধ্যে হাওড়া শহর তো বটেই, গ্রামাঞ্চলের যেসব জায়গায় করোনা বেশি ছড়াচ্ছে, সেরকম কিছু এলাকা চিহ্নিত করে সেগুলিতে কন্টেনমেন্ট জোনের তালিকা তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন।
যেসব এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে ওই সকল এলাকায় আরও কড়া বিধিনিষেধ লাগু করা হবে। এইসব এলাকায় মানুষের যাতায়াত যেমন কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তেমনি দোকানপাট খোলা-বন্ধ করা, জমায়েত ইত্যাদি ক্ষেত্রেও কিছু অতিরিক্ত বিধিনিষেধ জারি করা হবে। জেলা প্রশাসকের তালিকা অনুযায়ী হাওড়া মোট ১৮ টি এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে হাওড়া পুরনিগম এলাকায় রয়েছে ১২ টি জায়গা। এই ১২ টি জায়গা হল, হাওড়া পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এমসি ঘোষ লেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নীলমণি মল্লিক লেন, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিবপুর রোড, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের জি টি রোড(দক্ষিণ), ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ চ্যাটার্জি রোড, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আন্দুল রোড, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ চ্যাটার্জি রোড, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যারি রোড, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুর রামকৃষ্ণ লেন, এবং তাঁতিপাড়া লেন, ৪৭ ওয়ার্ডের জগাছা জিআইপি কলোনি এবং ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৯/৪, হরিচরণ ব্যানার্জি স্ট্রীট।