আরামবাগ, ১৬ জুন:- সামান্য বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থা আরামবাগ বয়েজ মাঠের বাজার। তাই বাধ্য হয়েই করোনা পরিস্থিতিতে রাস্তার দুই ধারে সবজি ফসল বিক্রি করার জন্য বসতে হলো বিক্রেতাদের। বৃষ্টির জেরে বয়েজ স্কুল মাঠে এক হাঁটু কাদা। কাদার জন্য ক্রেতারা মাঠের মধ্যে বাজার করতে না যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে সবজি বিক্রেতাদের। পর পর দুই দিন বৃষ্টির জেরে স্কুল মাঠ কাদায় পরিপুর্ন হয়ে যায়। সমস্যায় পড়েন বিক্রেতা থেকে ক্রেতা সকলেই। উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের নিরাপত্তার জন্য এবং করোনা থেকে এলাকার মানুষকে রক্ষা করার জন্য আরামবাগের ঐতিহ্যবাহী সদর ঘাটের বাজার আরামবাগ বয়েজ স্কুল মাঠে সরানো হয়। কিন্তু বর্ষার আগমে নিম্নচাপের জেরে পর পর দুই দিন বৃষ্টিপাতের জন্য স্কুল মাঠ বেহাল হয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তার দুই ধারে সবজি বিক্রেতারা বসে পড়েন।
এই বিষয়ে সবজি বিক্রেতা সরস্বতী পাত্র জানান, স্কুল মাঠে কাদা হওয়ায় খদ্দের আসেনি। তাই সবজি বিক্রিতে লোকসান হয়। এদিন রাস্তার ধারে বসেছি। মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আরামবাগের দৌলতপুর থেকে আসা এক জন ক্রেতা রায় চরন গায়েন বলেন, মাঠে কাদা হওয়ায় ভেতরে যাওয়া যাচ্ছে না। এই রাস্তার ধার থেকে দুই একটা জিনিস কিনে বাড়ি যাবো। বিক্রেতা কম বলে জিনিসপত্রের দামও বেশি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই ভাবে বাজার বসলে কিভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হবে। আগের মতো আবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। আরামবাগকে কন্টেনমেন্টজোন হিসাবে ঘোষণা করছে পুলিশ প্রশাসন। তাহলে অব্যবস্থা কেন?উঠছে প্রশ্ন? সবমিলিয়ে এইভাবে বাজার চলে না। গঠন মুলক পরিকল্পনা করতে হবে প্রশাসনকে। এমনটাই মনে করছেন এলাকার মানুষ।