এই মুহূর্তে জেলা

আসঞ্জন ক্রিয়ার ফলেই শরীরে ধাতব বস্তু আটকায় , ভ্যাকসিনের জন্য নয় দাবী বিজ্ঞান মঞ্চের।

সুদীপ দাস , ১৪ জুন:- রবিবার দিনভর একটি খবরে তোলপাড় হয় টিভি চ্যানেল। খবরের সেই অংশ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও নেটাগরিকরা চুলচেরা বিশ্লেষন শুরু করে দেয়। সেই খবরে দেখা যায় শিলিগুড়ির ভরতনগরের বাসিন্দা ৫৮ বছরের নেপাল চক্রবর্তীর শরীরে পয়সা, হাতা, খুন্তির মত ধাতব বস্তু আটকে যাচ্ছে। নেপালবাবুর বক্তব্য ছিলো করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই নাকি এই ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে সাধারনের মনে ভ্যাকসিন নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। গনেশের দুধ খাওয়ার মত বহু ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষই নিজেদের শরীরে ধাতব বস্তু আটকায় কিনা তা দেখতে ব্যাস্ত হয়ে পরেন। এবং একইভাবে আটকে যাওয়ায় তাঁরাও ভাবতে শুরু করেন ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেই শরীর চুম্বক হয়ে উঠেছে। কিন্তু শরীরে ধাতব বস্তু আটকানো কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়, এর সাথে ভ্যাকসিনেরও কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবী পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের।

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের হুগলী জেলার অন্যতম সংগঠক অমিত মুখার্জী নিজের এবং তাঁর স্ত্রীর শরীরে একইভাবে ধাতব বস্তু আটকে দিয়ে দেখান। যদিও এরা দু’জনেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। আমাদের দেশে এখনও ১৮ বছরের নীচে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়নি। তাই বিজ্ঞান মঞ্চের আর এক সদস্য সন্দীপ সিংহ নিজের ১১ বছরের ছেলে শ্রমন সিংহের শরীরে একের পর এক পয়সা আটকে দেখান। এবিষয়ে বিজ্ঞানমনস্কা অমিত মুখার্জী বলেন এধরনের গুজবে অনেকেরই ভ্যাকসিনের উপর থেকে মানুষের আস্হা হারাতে পারে। শরীরে ধাতব বস্তু আটকানো আসলে কোন ভ্যাকসিনের কারনে নয়, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। বস্তুর আসঞ্জন ক্রিয়ার ফলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। দুটি ভিন্ন বস্তুর অনু পরস্পরের সংস্পর্শে এলে চুম্বকীয় আকর্ষন তৈরী হয়। আর শরীরের ক্ষেত্রে ঘাম ও অন্যান্য ক্ষরনের জন্য আটকে থাকার বিষয়টি তো রয়েইছে।