এই মুহূর্তে জেলা

নির্বাচনের একমাস যেতে না যেতেই চরকির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে , নাম না করে রাজীবকে তীব্র কটাক্ষ কল্যাণের।

হাওড়া , ১৩ জুন:- নির্বাচনের একমাস যেতে না যেতেই ওনার কী হাল হয়েছে দেখুন। চরকির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নাম না করে রাজীবকে তীব্র কটাক্ষ সাংসদ কল্যাণের। কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচনের আগেই তো বলেছিলাম তিরিশ হাজার ভোটে হারাবো। আর তিন বছর ঘুমোতে দেবো না। এক মাস হতে না হতেই ওনার কি হাল হয়েছে দেখুন। ঘুম চলে গেছে। চরকির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রবিবার হাওড়ায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে এভাবেই তাঁকে কটাক্ষ করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল কুণাল ঘোষ ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হাওড়ার বালি নিশ্চিন্দায় এক অনুষ্ঠানে এসে সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে নাম না করেই বলেন, “আজকে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে উনি বড় বড় কথা বলছেন। যিনি দেড় মাস আগে ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের একটি এলাকায় লোকেদের নিয়ে মিছিল করে সেখানে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করেছিলেন।

অবজারভার দিয়ে সেই মিছিল বন্ধ করা হয়েছিল। একমাসের মধ্যে উনি পাল্টি খেয়ে গেলেন ? কেন সুন্দর দেখতে উত্তম কুমারের মতো স্যুট প্যান্ট পরেন বলে ? আরে মনটাকে আগে শুদ্ধ করুন। নির্বাচনের আগে বলেছিলাম তো ত্রিশ হাজার ভোটে হারাব আর তিন বছর ঘুমাতে দেবনা। এখন তো দেখছি একমাসের মধ্যেই প্রায় চরকির মতো উনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কি হাল হয়ে গেছে দেখুন। ওনাকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে শেষ কথা তো দিদিমণি বলবেন। আর তো কেউ বলবেন না। আর যারা আছেন মাঝে তাঁদের কোনও দাম নেই। খবরের কাগজে আর মিডিয়াতে আসার জন্যে অনেকে অনেক কিছু করেন। গতকাল ওঁদের ( কুণাল ঘোষ এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ) মধ্যে যদি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎই হয়ে থাকে, তাহলে সেইসময়ে এতো মিডিয়া কীভাবে সেখানে পৌঁছে গেল ? তাই আমি বলেছিলাম, ওরা দুজনেই শুধু বুদ্ধিমান আর আমরা কি গরু – ছাগল ? আজও আমি সেই কথাই বলছি।

ওকে ( রাজীব ) তো প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছি কে কাকে জিতিয়েছে, আর কে কাকে না জিতিয়েছে। এখনও যদি শিক্ষা না পায়, আর শিক্ষা পাবে না। ওঁকে দলে নেওয়া হলে আমি স্বাগত জানানোর কে ? আমাদের কর্মীরা যদি ওনাকে ওয়েলকাম করেন আমিও ওয়েলকাম করব। আমি কে ? কর্মীদের জন্যেই তো আমি। বুথস্তরের কর্মীদের কথার আওয়াজ তো আমার কাছেও আসছে, সেই আওয়াজে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর নেই। বিক্ষোভের সুর আছে। সেটাই আমার গলা দিয়েও বের হচ্ছে।” এদিন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, “কৈলাস বিজয়বর্গীয় আর তথাগত রায়ের কি ট্যুইট হচ্ছে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। তবে তথাগত রায়ের ট্যুইট করার একটু অভ্যাস আছে। রাজ্যপাল হলেই বোধ হয় একটু ট্যুইট করতে হয়। আমাদের বর্তমান রাজ্যপাল তিনিও ট্যুইট করেন। প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় উনিও ট্যুইট করেন। এ ব্যাপারে আমরা কোনও গুরুত্ব দিইনা।”