হাওড়া, ১০ জুন:- রাজস্ব বাড়াতে আগামী দিনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে হাওড়া পুরসভা। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের পুলিশের সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে। হাওড়া পুর এলাকায় অবৈধ পার্কিং, হোর্ডিং থেকে শুরু করে লকডাউনে রাস্তার ধারে গজিয়ে ওঠা বাজার প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুলিশি সাহায্য চেয়ে বৃহস্পতিবার পুরসভায় ওই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়। পুর প্রশাসকমন্ডলীর সদস্যরা ছাড়াও পুর কমিশনার, পুলিশ কমিশনার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ওই বৈঠকে অংশ নেন। এদিন পুরসভায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া পুরসভার পুর প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন অরূপ রায় বলেন, “পার্কিং, হোর্ডিং, বাজার প্রমুখ বিষয় নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বাজার বাড়তে বাড়তে আজকে পাড়ার ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। তারা কিন্তু দিনের শেষে আবর্জনা রাস্তায় ফেলে চলে যায়।
তাদেরও কিন্তু কিছু দায়িত্ব আছে জায়গাটা পরিষ্কার রাখা। তাদের থেকেও এবার পুরসভা কনজারভেন্সি চার্জ নেবে। ২০১৯ সাল থেকে হোর্ডিংয়ের এগ্রিমেন্ট বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন জায়গায় বৈধ এবং অবৈধ পার্কিং রয়েছে। এছাড়াও বঙ্কিম সেতুর উপর পার্কিং রয়েছে, এতে সেতুটি কমজোরি হয়ে পড়ছে। ময়দানে লম্বা সার দিয়ে বাস দাঁড় করানো আছে। রাস্তায় যেখানে সেখানে বাস, ট্যাক্সি, অটো, টোটো দাঁড়িয়ে আছে। এসব বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। এগুলোকে আগে চিহ্নিত করা হবে। নো পার্কিং জোন করে দেওয়া হবে। শুধুমাত্র পার্কিং জোনে গাড়ি থাকবে। সেখান থেকে পুরসভা রাজস্ব আদায় করবে। সব বিষয়ে আমরা সিটি পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি। লাইসেন্স, ট্যাক্স, হোর্ডিং সব বিষয়েই পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।” উল্লেখ্য, হাওড়া পুরসভার বঙ্কিম সেতু সহ বিভিন্ন এলাকার বেআইনি পার্কিং সরাতে এদিন পুলিশের সাহায্য চাইল হাওড়া পুরসভা। পাশাপাশি পুরসভার রাজস্ব বাড়াতে কোভিড পরিস্থিতিতে ফুটপাতে বসা বাজার থেকেও রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এদিনের ওই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে।