এই মুহূর্তে কলকাতা

সুন্দরবনের নদী বাঁধ ও পরিবেশ রক্ষায় মাস্টার প্লান এর চিন্তাভাবনা রাজ্যের।

কলকাতা , ৭ জুন:- রাজ্য সরকার সুন্দরবনের নদী বাঁধ এবং পরিবেশ রক্ষায় একটি মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ নবান্নে সাম্প্রতিক ইয়াশ পরবর্তী পরিস্থিতি এবং চলতি মাসে যে দুটি বড় কোটাল রয়েছে তার থেকে উপকূলের জেলা গুলিকে কিভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক, জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন। সেখানে তিনি সুন্দরবনের নদী বাঁধ এবং পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশবিদ কল্যাণ রুদ্রর নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছেন। নদী বাঁধ রক্ষায় দুই চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘায় মোট পনেরো কোটি ম্যানগ্রোভ গাছের চারা বসানো ছাড়াও বিশেষ ধরনের ঘাস বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ইয়াষে যে ৩১৭টি জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙেছে তার সিংহভাগ বৃহস্পতিবার এর মধ্যে সারানো হয়ে যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৌসুনী এবং সাগরদ্বীপে বাঁধ সংস্কারের কাজ শেষ করতে আগামী মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বলে তিনি জানান। ফলে আগামী এগারো এবং ছাব্বিশে জুন নদীতে যে ভরা কোটাল রয়েছে তা থেকে গ্রামবাসীদের সুরক্ষা দিতে তিন জেলা থেকে কুড়ি হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। উপকূলবর্তী জেলাগুলির ১৪টি ব্লকের যে ৬৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এখনো লোনা জল জমে রয়েছে সেখানে কোনভাবেই যেন জলবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য সব ধরনের আগাম সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যা নিয়ন্ত্রনে ডিভিসি যেন রাজ্যের সঙ্গে আগাম আলোচনা না করে ঝাড়খন্ড এবং ছত্তিশগড় থেকে কোনভাবেই জল না ছাড়ে সেই বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দেখার উপরে জোর দিয়েছেন তিনি। এইসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উন্নয়নে একশো দিনের কাজে জোর দেওয়ার পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিকাশি ব্যবস্থায় একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন বর্ষার মৌসুমে প্রতিদিন বৃষ্টির পরিমাপ এবং নদীর জল স্তর এর উপরে নজর রাখা হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।