এই মুহূর্তে জেলা

ইয়াসের চোখ রাঙানি , মৎস্যজীবি থেকে গঙ্গাপাড়ের বাসিন্দাদের সচেতন পৌরসভার !

সুদীপ দাস , ২৪ মে:- আমফানের বছর ঘুরতেই আবারও ঘুর্নিঝড়ের ভ্রূকুটি। কোভিডের আবহের মধ্যেই এই অতি বিপজ্জনক ঘুর্নিঝড়ের মোকাবিলায় সদা সতর্ক রাজ্য সরকার। ভৌগলিকভাবে রাজ্যের দক্ষিনে অবস্থিত হুগলী জেলার পূর্ব সীমানাতেই রয়েছে গঙ্গা। জেলার সদর চুঁচুড়া শহর এই গঙ্গাপারেই অবস্থিত। শহরের চকবাজার থেকে ব্যান্ডেল চার্চ পর্যন্ত রয়েছে বাঁধ। এই বাঁধের দু’ধারে বহুবছর আগেই বসতি গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে সিংহভাগের জীবনজীবিকার একমাত্র মাধ্যম গঙ্গা। কেউ জেলে, কেউ বা সাধারন মাঝি। রবিবার এইসমস্ত মানুষদের সতর্ক করতে এলাকায় উপস্থিত হন স্থানীয় পৌর সদস্য ঝন্টু বিশ্বাস।

হাত মাইক নিয়ে তিনি নৌকা নিয়ে গঙ্গায় সওয়াররত মানুষদের পারে উঠে আসতে বলেন। গঙ্গা থেকে উঠে আসা মাঝিরা তাঁদের নৌকাগুলি পারে নিয়ে এসে গঙ্গা থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে আসে। পাশাপাশি বাঁধপাড়ের মানুষদের ত্রান শিবিরে চলে আসার কথা বলা হয়। পৌর সদস্য ঝন্টু বিশ্বাস বলেন কোনরকম ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। আপাতত আগামি ২৬ তারিখ পর্যন্ত গঙ্গায় যেতে বারন করা হয়েছে মাঝিদের। পাশাপাশি কোভিডের কথা মাথায় রেখে ভিড় এড়াতে আমারা ঘুর্নিঝড়ের মোকাবিলায় এলাকায় ৩টি ত্রান শিবিরের ব্যাবস্থা করেছি। ইয়াস না যাওয়া পর্যন্ত সেখানেই আমরা তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যাবস্থা করছি।