কলকাতা, ১৯ মে:- গত বছরের আম্ফান বিপর্যয়ের স্মৃতি উস্কে দিয়ে ফের রাজ্যের আকাশে ফে্র বিপর্যয়ের ভ্রূকুটি। বঙ্গোপসাগরের বুকে সৃষ্ট নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে কিনা, নিলেও তার গতিপথ কী হবে নিয়ে এখনও নিশ্চিত কোন ঘোষণা করেনি আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু আম্ফানের ও টাওটের অভিজ্ঞতা কে সামনে রেখে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ নিয়ে আগাম সতর্ক হগল নবান্ন। সম্ভাব্য বিপর্যয়ের মোকাবিলায় বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। মুখ্য সচিবের পৌরহিত্যে ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীও ভার্চুয়ালি অংশ নেন ।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব এইচ কে দ্বিবেদী, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ,সেচ দপ্তর ,পূর্ত দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর এবং প্রাণী সম্পদ দপ্তরের আধিকারিকরা।
তাছাড়া বৈঠকে স্থলসেনা বিমানবাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ফোনে সবার সঙ্গে কথা বলেন। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন আগাম প্রস্তুতি বৈঠক করেছে। বিশেষ করে সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাঁচাতে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়ার কথা ভেবেছে প্রশাসন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আপাতত মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয়েছে এবং যারা গেছেন তাঁরা যেন ২৩ তারিখের মধ্যে ফিরে আসেন তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলাশাসকদের বলা হয়েছে তাঁরা যেন আগাম খাদ্য সামগ্রী তুলে নেয় এবং ফ্লাড সেন্টার গুলোকেও যেন ঠিক ভাবে তৈরি করে রাখেন।