এই মুহূর্তে কলকাতা

কেন্দ্রীয় সরকারকে চম্বলের ডাকাত বলে কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের।


কলকাতা , ৬ মে:- বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি অব্যাহত। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই নিয়ে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার কেও ফোন করেছেন। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি তিনি জানতে চেয়েছেন। ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি পদমর্যাদার আধিকারিকের একটি প্রতিনিধি দল। বাংলার নির্বাচন-পরবর্তী হিংসার তদন্ত তার বিস্তারিত তথ্য রিপোর্ট করা হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। এরই প্রতিবাদে এবার মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম।

বহস্পতিবার, তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ বলেন, “নাচ না জানলে উঠোন বাঁকা। শূন্য হয়ে ফিরেছে তো, তাই দেখাচ্ছে বিরাট কিছু ঘটেছে।” কেন্দ্রকে এ দিন ‘চম্বলের ডাকাত’ বলে সম্বোধন করে তৃণমূল নেতা বলেন, “আসলে হেরে গিয়েছে তো! তাই বদলা বদলা করেছে। দল পাঠাচ্ছে। কেন্দ্রীয় দল না পাঠিয়ে ভ্যাকসিন পাঠাও।” প্রসঙ্গত, মুখ্য়মন্ত্রী হয়ে শপথ গ্রহণের পরেই, করোনা নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্য়মন্ত্রী।  কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেন তিনি। চিঠিতে, শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের জোগান বাড়ানোরও আবেদন করেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গে ১০ হাজার ডোজ রেমডেসিভির লাগবে প্রতিদিন, এমনটাও আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরহাদ আরও বলেন, “করোনা নিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পারছে না। তাই এ সব গল্প বানাচ্ছে।”

ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে শপথ নিয়েছেন তার চব্বিশ ঘণ্টাও হয়নি। এর মধ্য়ে টিম পাঠাতে হবে! বাংলায় সন্ত্রাস হয় না। দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে সন্ত্রাস বলে চালিয়ে দেবেন না। আমাদের দলের কর্মী সমর্থকেরাও মারা গিয়েছেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় শক্ত হাতে ধরেছেন। সব সমস্যার আশু সমাধান হবে।” প্রসঙ্গত, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে রাজনৈতিক হিংসার খবর এসেছে। শুধু বিজেপি নয়, অন্যান্য দলের কর্মীদের মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। 

এরপরেই, কেন্দ্রের তরফে ভোট পরবর্তী হিংসার খতিয়ান দেখতে রাজ্যে চারজনের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে সমস্ত জায়গায় নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা হয়েছে সেখানকার বর্তমান অবস্থা কী, যাঁদের উপর হিংসা হয়েছে তাঁরা বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছেন, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য তাঁরা এসেছেন। প্রয়োজন হলে তারা সরকারি আধিকারিক রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব অথবা রাজ্য পুলিশের ডিজি সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।  এ প্রসঙ্গে, ফিরহাদ বলেন, “করোনা নিয়ে ব্যর্থতা ঢাকতে টিম পাঠাচ্ছে। টিম আসবে। চা খাবে, গল্প করবে, চলে যাবে। বিজেপিকে, নরেন্দ্র মোদীকে বাংলার মানুষ রিজেক্ট করেছে। এ বারের নির্বাচনই তার প্রমাণ।”