এই মুহূর্তে জেলা

করোনা সংক্রমনে ভীড় এড়াতে বাসিন্দারা নিজেরাই গঙ্গার ঘাটগুলিতে বাঁশের ব্যারিকেড করে দিলেন।


হাওড়া, ২৯ এপ্রিল:- করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাসিন্দারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে বাঁশের ব্যারিকেড করে দিলেন। বালিতে গঙ্গার ঘাটগুলিতে দেখা গেল এমন ছবি। হাওড়ার বালি এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগেই বালির বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটগুলি বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দিলেন। পোস্টার, ব্যানার লাগিয়ে সচেতনতা বার্তা দিলেন। বালি কেদার ঘাট, নিমতলা ঘাট, বালিখাল ঘাট সমস্ত ঘাটেই অযাচিত ভীড় এড়াতে এই ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে ভীড় না করে সোস্যাল ডিসট্যান্স বজায় রেখে করোনা বিধি মেনে সকলে যেন ঘাট ব্যবহার সেই মর্মে সকলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। বিকেল হলে যেভাবে জমায়েত হয় গঙ্গার ঘাটগুলিতে তাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শবযাত্রীরাও যাতে অধিক সংখ্যায় ঘাটে না আসেন সবদিক বিবেচনা করেই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে বাইরে থেকে মানুষজন এসে মারণ করোনার ভাইরাস ছড়াতে না পারেন তারজন্য নিজস্ব উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় মানুষ।

এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা স্বরাজ ঘোষ বলেন, বালির মানুষ খুবই সচেতন। সরকার নিজেদের মতো করে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে। বালির প্রতিটি মানুষ এত সচেতন যে প্রতিটি ঘাটকে ঘিরে দিয়েছেন। যারা সেখানে ঢুকছেন তাদের প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। অযাচিত ব্যক্তিকে এলাকায় ঢুকতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। বিকেলে যে জমায়েত হয় এলাকার মানুষই নিজেদের উদ্যোগে তা নিয়ন্ত্রণ করছেন। একসঙ্গে ভীড় না করে এখানে যতটা সম্ভব কম সংখ্যক মানুষকে ঘাটে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।বালি অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দা অর্ণব চ্যাটার্জী বলেন, হাওড়াতেও করোনার প্রকোপ বেশি। ভোটের জন্য হয়তো প্রশাসনের তরফ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্য স্থানীয় বাসিন্দারা মিলেই ঘাটেতে সন্ধ্যায় যে জমায়েত হয় যতটা সম্ভব তাদের সচেতন করা হচ্ছ। সামাজিক দূরত্ব মানার জন্য বলা হচ্ছে। সকলে যাতে হাত জীবাণুমুক্তকরণ করেন সেই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এতে বালি থানা ও বালি ট্রাফিকের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সাহায্য পাওয়া গেছে। তারা গার্ড রেল দিয়েছেন। ভিড় হলে তারা সেই জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। সেখান ভিড় দেখলে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যাতে জমায়েত না হয় সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যতটা সম্ভব করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যায় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।