এই মুহূর্তে কলকাতা

গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত কে ডেকে পাঠাল সিবিআই, না যাওয়ার নির্দেশ মমতার।

কলকাতা , ২৬ এপ্রিল:- গরু পাচারকাণ্ডে এবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। মঙ্গলবার তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁর এক সঙ্গীকেও।গরু পাচার কাণ্ডে নাম জড়ালেও অনুব্রতর পাশে থেকে বিতর্ক বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি প্রকাশ্য সভা থেকেই সরাসরি অনুব্রতকে সিবিআইএর সামনে হাজিরা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গরু পাচার কাণ্ডে তদন্ত করতে একাধিক সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে। যেখানে বারবার অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর এক সঙ্গীর নাম উঠে এসেছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের হাতে এমন কিছু তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত জড়িত ছিলেন।এই তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষীদের বয়ান নেওয়ার পরেই অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর এক সঙ্গী দু’জনকেই তলব করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা হতে হবে তাঁদের।

সিবিআই সূত্রে খবর রবিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দু’জনকেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সপ্তম দফা ভোটের ঠিক আগই এই নোটিশ পাঠানো হয়। এমনকী সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচারকাণ্ডে তাঁর সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা, সেই বিষয়েও অনব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।এর আগে গরুপাচারকাণ্ডে এনমূল হককে গ্রেফতার করে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছিল। কাদের কাদের কাছে গরু পাচার কাণ্ডের টাকা গিয়েছে তার একটা তালিকা সিবিআই-এর হাতে এসেছে। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এখানে বারবার অনুব্রতর নাম উঠে আসে বলেও জানায় সিবিআই।এদিকে এই খবর জানার পরেই আজ জনসভা থেকে মমতা বলেন, প্রতিবারই ভোটের সময় কেষ্টকে নজরবন্দি করে রাখা হয়। বেরতে দেওয়া হয় না। ২৯ তারিখ ওর ওখানে ভোট। আর ২৭ তারিখ সিবিআই অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কেন যাবে? অনুব্রত একটা দলের সভাপতি। তাঁর বাড়িতেও চলে যাচ্ছে। যেন ও কোনও কাজ করবে না। কোভিড নিয়ে চলে আসছে বাড়িতে। তিনি বলেন , ”আমি বলে দিয়েছি একদম যাবি না। সাফ বলে দিবি নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হলে তার পর যাব। আমাকে কাজ করতে দিন। ”