এই মুহূর্তে কলকাতা

সমন্বয়ে জোর ইন্টিগ্রেটেড কোভিড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হচ্ছে রাজ্যে।

কলকাতা, ২৬ এপ্রিল:- সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে রাজ্যে উদ্ভূত করোনা সংকট সামাল দিতে রাজ্য সরকার ইন্টিগ্রেটেড কোভিড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করছে। হাসপাতালে বেড সংক্রান্ত তথ্য, টেলিমেডিসিন, অক্সিজেন,অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ইত্যাদি থেকে শুরু করে করোনা রোগীর দেহ সৎকার পর্যন্ত যাবতীয় ব্যবস্থাপনা সুশৃংখল করতে এই উদ্যোগ বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশনের লিখিত অনুমোদন সাপেক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ নবান্নে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। মুখ্য সচিব,স্বরাষ্ট্র সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিবের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে কাল থেকেই নতুন ব্যবস্থাপনা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। জেলাগুলির সঙ্গে সরাসরি রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের সমন্বয়ের জন্য একটি প্রশাসনিক হেল্পলাইন চালু করা হচ্ছে। যাতে জেলা থেকে যেকোন তথ্য অথবা সমস্যার কথা সরাসরি এবং দ্রুততার সঙ্গে প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের কাছে পৌঁছায়। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যের ১১২ টি কোভিড হাসপাতালে প্রায় কুড়ি হাজার শয্যা রয়েছে। আরো চার-পাঁচটি হাসপাতালকে খুব শীঘ্রই কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হবে। সংক্রমনের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে হাসপাতাল গুলিকে ৬০ শতাংশ শয্যা বাড়াতে বলা হয়েছে।

রাজ্যে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত অক্সিজেনের সমস্যা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে এ রাজ্যে অক্সিজেন উৎপাদনের পরিমাণ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করা এবং তা সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে কোভিড হাসপাতালে পাইপলাইনে অক্সিজেন সরবরাহের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতালে নিজস্ব অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির ব্যাপারেও রাজ্য সরকার সচেষ্ট হয়েছে।৯৩ টি হাসপাতালে নিজস্ব অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এছাড়া নিজস্ব উদ্যোগে ও রাজ্য সরকার বেশকিছু হাসপাতলে অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সেফ হোম এবং স্যাটেলাইট সেন্টার গুলিতে অক্সিজেন সহ যাবতীয় পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটিয়ে সেগুলিকে পুরোদস্তুর হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়েও রাজ্য সরকার উদ্যোগী হচ্ছে।