এই মুহূর্তে কলকাতা

এবার নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়লেন সায়ন্তন বসু ও সুজাতা খাঁ।

কলকাতা, ১৮ এপ্রিল:- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহার পর এবার নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মন্ডল খাঁ। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের দায়ে রবিবার কমিশনের শাস্তির মুখে পড়েছেন তারা। ২৪ ঘণ্টার জন্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হল বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর উপর। শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আগেই শোকজ করা হয়েছিল এই বিজেপি নেতাকে। তার প্রেক্ষিতে জবাব দিলেও সন্তুষ্ট না হয়ে কমিশনের খাঁড়া নেমে এল সায়ন্তনের উপর। ঠিক একইভাবে তফশিলি জাতির সম্প্রদায় নিয়ে একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আগামী ২৪ ঘণ্টা প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁকেও।সায়ন্তন বসুকে আজ সন্ধ্যে ৭ টা থেকে আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

চতুর্থ

দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোয় প্রাণ হারান চারজন সাধারণ মানুষ। তাই নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। এই বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে জনসভায় সায়ন্তন বসু জানান,’খেলা বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচি খেলে দেব৷ জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়া আনন্দ বর্মনকে হত্যা করেছে ওরা। সে বিজেপির শক্তিকেন্দ্র প্রমুখের ভাই ছিল। আমরা এর পর আর অপেক্ষা করব না। চার জনকে ইতিমধ্যেই স্বর্গে পাঠানো হয়েছে। শোলে সিনেমায় একটা ডায়লগ ছিল যদি আপনাদের মনে থাকে, তুমি একটা মারলে আমরা চারটে মারবো। শীতলকুচি তার সাক্ষী থাকল। তোমরা একটা মারলে, আমরা চারটে মারবো।’ তারপরেই সায়ন্তন বসুকে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন।

যার প্রেক্ষিতে জবাব দেন ওই বিজেপি নেতা। কিন্তু সায়ন্তনের জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি কমিশন। যার জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টা প্রচারে ব্যান করা হয়েছে সায়ন্তনকে। শীতলকুচির ঘটনাটি নিয়ে আগেই বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহাকে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। এবার সেই তালিকায় নাম জড়ালো সায়ন্তনের। অপরদিকে রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটে আরামবাগ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ-এর উপর আক্রমণ চালানোকে কেন্দ্র বিতর্ক শুরু হয়। সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে তফশিলি সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন সুজাতা। পরে অবশ্য সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই বিষয়ে ক্ষমা চান সুজাতা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছেন সুজাতা। তাঁকেও আগামী ২৪ ঘণ্টা প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।