এই মুহূর্তে জেলা

এবারও বাজিমাত করলো হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র অভিজ্ঞান কিশোর দাস।

প্রিয়াঙ্কা দাস, হুগলি ২১ মার্চ:- এবারও বাজিমাত করলো হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র অভিজ্ঞান কিশোর দাস। এ বছরের শুরুতেই সোনি-বিবিসি আর্থ টেলিভিশন চ্যানেল ও বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকার এর সহযোগিতায় আয়োজিত হয়েছিল ইয়ং আর্থ চ্যাম্পিয়ন কনটেস্ট। সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল সারাদেশের পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা। প্রায় 1100 বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠানো উদ্ভাবনী আইডিয়া থেকে বোম্বের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষক এবং অধ্যাপকেরা বেছে নিয়েছিলন সেরা 10 জন ছাত্রছাত্রীর কে। গত 12 ই মার্চ সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে এক অনলাইন আলোচনার মাধ্যমে বলিউডের অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকার এবং আইআইটির অধ্যাপক-গবেষক প্রফেসর ভি এস ভামসি বেছে নেন সেরার সেরা হুগলি কলেজিয়েট এর নবম শ্রেণীর ছাত্র অভিজ্ঞান কিশোর দাসের ভাবনাকে। এবারে অভিজ্ঞানের ভাবনায় এসেছিল পরিবেশ বাঁচাতে বিশেষ করে বায়ু দূষণের হাত থেকে পরিবেশকে রক্ষা করতে কিভাবে অটোমোবাইল জনিত বায়ুদূষণকে একশো শতাংশ রোধ করা যায়। সেই ভাবনা মত তার উদ্ভাবনী যন্ত্রের নাম দিয়েছিল সেফ পলুটেন্ট। এর আগেও অভিজ্ঞানের এই ভাবনা ইন্ডিয়া ইন্টার্নেশনাল সাইন্স ফেস্টিভাল 2019 এবং 2020 তে সমাদৃত হয়। উভয় ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞান প্রথম পুরস্কার লাভ করেছিল।

অভিজ্ঞানের এই উদ্ভাবিত বিশেষ যন্ত্রটি-সেফ পল্লুটান্টকে পেটেন্ট করানোর জন্য বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন কিভাবে একে দ্রুত পেটেন্ট করা যায়। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা ভাল গত 2019 সালে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে আয়োজিত চতুর্থ আঞ্চলিক বিজ্ঞান কংগ্রেসেরও অভিজ্ঞানের উদ্ভাবিত এই যন্ত্রটি প্রথম পুরস্কার লাভ করেছিল কেন এমন ভাবনা এর উত্তরে চোদ্দ বছরের কিশোর অভিজ্ঞান জানায় প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় অটোমোবাইল থেকে নির্গত ধোঁয়াতে তাকে এবং তার সহপাঠীদের নাজেহাল হতে হয়। কিভাবে এই ধরনের গাড়িগুলোকে দূষণমুক্ত করা যায় সেই কথা মাথায় রেখেই অভিজ্ঞান এই উদ্ভাবনী যন্ত্র আবিষ্কার করে। সোনি টিভি এবং বিবিসি আর্থ এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় বর্তমান প্রতিযোগিতাটিতে প্রধান আকর্ষণ ছিল বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকার এর উপস্থিতি। এই পুরষ্কার জেতার ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিজ্ঞানকে একটি ‘ইয়ং আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’ এবং 50000 টাকার মূল্যের পুরস্কার দেয়। এছাড়াও বিবিসি আর্থ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ অভিজ্ঞানকে নিয়ে একটি বিশেষ ডকুমেন্টারি করবে বলেও জানায়। এই বিশেষ পুরস্কার পেয়ে অভিজ্ঞান সহ তার পরিবারের লোকজনও বিশেষ ভাবে খুশি। অভিজ্ঞানের বাবা অনিন্দ্য কিশোর দাস জানান পুত্রের এই উদ্ভাবন কিভাবে দ্রুত বাস্তবায়িত করে মানবকল্যাণে লাগানো যেতে পারে তারই ব্যবস্থা যেন সরকার অনতিবিলম্বে করে।