এই মুহূর্তে জেলা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশ সামলায় না , হামলা করার চক্রান্ত করে – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাঁকুড়া , ১৬ মার্চ:- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশ সামলায় না হামলা করার চক্রান্ত করে। কাল ওনার সভায় লোক হয়নি। হবে কি করে। এত যারা চক্রান্ত করে তাদের সভায় লোক হয়? মা ভাই, বোনেদের বিরুদ্ধে যারা চক্রান্ত করে তাদের সভায় লোক যাবে কেন? গতকাল ঝাড়গ্রাম ও খাতড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর জোড়া সভা প্রসঙ্গে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বাঁকুড়ার ছাতনা বিধানসভার কমলপুরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, বিজেপি নেতাদের কাজ নেই কর্ম নেই, হরিয়ানার সিঙ্ঘুতে যে কৃষকরা ৬ মাস ধরে বসে আছে তাদের ডেকে কথা বলেনা আর বাংলায় সবকটা বসে আছে। সব হোটেল বুক করে বসে আছে। সারাক্ষণ শুধু বসে বসে একে মারো, ওকে ধরো, ওর বাড়িতে ইনকাম ট্যাক্স রেড করাও, ওর বাড়িতে সিবিআই পাঠাও এসব চক্রান্ত চলছে। এখন নির্বাচন চলছে। এখন এসব হওয়া উচিৎ নয়। এমনকি গতকাল হোম সেক্রেটারিকে সিবিআই নোটিশ পাঠিয়েছে। ওরা ভাবছে এই ভাবে ওদের মুখ বন্ধ করে দেবে। আমি যয়ক্ষণ বেঁচে থাকব আমার কন্ঠ চলবে। তোমরা আমাকে স্তব্ধ করতে পারবে না। ভারতবর্ষে যদি একজনও প্রতিবাদ করার লোক না থাকে আমি থাকব।

এদিনের সভা থেকে বিজেপি কে হুশিয়ারি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যতই তোমরা হামলা কর, হামলা আমরা সামলে নেব। আগে দিল্লী সামলা তারপর দেখবি বাংলা। বাংলা বহিরাগত গুন্ডাদের হাতে গেলে মা বোন থেকে শুরু করে কারো নিরাপত্তা থাকবে না। এদিন শুধু বিজেপি কেই নয় নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়ে বলছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনেও নাক গলাচ্ছে। এবং আমার সন্দেহ আছে তিনিই সবটা চালাচ্ছে কিনা। ২৭ তারিখ জঙ্গলমহলের মানুষ ভোট দিয়ে ভালো করে কান মলে দিয়ে বলবেন, লোকসভায় তোমাদের ভোট দিয়েছিলাম, তোমরা আমাদের ঠকিয়েছ। তাই বিজেপি আর না আর না। তৃনমূল ত্যাগ করে একাংশের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়েকটা গুন্ডা এখন বিজেপি করছে। আমাদের দলেও কিছু গুন্ডা সিপিএম থেকে এসেছিল। তারা চলে গেছে আমি বেঁচে গেছি। আমি মিরজাফর, বিস্বাসঘাতকদের তাড়ানোর আগেই তারা পালিয়ে গেছে। এখন তৃনমূল মানুষের দল। মানুষের জন্য ছিল, মানুষের জন্য আছে, মানুষের জন্য থাকবে।