এই মুহূর্তে কলকাতা

আতশকাচে জামাত যোগ , নিমতিতার তদন্তে এনআইএ ।


কলকাতা , ২ মার্চ:- মুর্শিদাবাদের নিমতিতা রেলস্টেশনে রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপরে হামলা ও বোমা বিস্ফোরনের ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এন আই এ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ইতিমধ্যেই সংস্থার তদন্তকারীরা রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সি আই ডি এবং এই ঘটনায় গঠিত রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের সঙ্গে কথা বলেছে বলে স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় এই ঘটনার পরে প্রাথমিক ভাবে ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দদেখে এন আই এ র প্রতিনিধিরা মন্ত্রকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই তদন্তভার এন আই এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর প্রশাসনিক সূত্রে। মন্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনার পর দু’দিন ধরে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে এনআইএ রিপোর্ট পাঠিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে যে, ঘটনাস্থলে বোমার বিস্ফোরণে প্রায় সাড়ে তিন ফুট গর্ত হয়েছিল।

পাশেও একাধিক গর্ত তৈরি হয়। পাশাপাশি, মন্ত্রীকে লক্ষ করে এমন ভয়াবহ পরিকল্পনামাফিক হামলাকে ছোট করে দেখতে চাইছে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ফলে এনআইএ-র হাতেই তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিআইডি ও সিটের তদন্তকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এনআইএ। মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছিলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ একাধিক। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে। সেই সময় স্টেশন থেকে কলকাতাগামী ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী। বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুক্রবার আরও দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ধৃতদের নাম সাইদুল শেখ ও আবু সামাদ। দু’জনেই সুতি রঘুনাথপুরের বাসিন্দা। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গেও বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগ থাকতে পারে। কারণ, ইতিমধ্যেই এক বাংলাদেশি নাগরিক, ওই স্টেশনে হকারের কাজ করত এমন একজনকে জালে নিয়েছে পুলিশ। পরে ধৃত আরও দু’জনের মধ্যে সাইদুল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মন্ত্রীর পুরনো শত্রুতা আছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৪ সালে জেলার খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরনের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এন আই এ এই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশী জঙ্গি সংগঠন জে এম বির যোগ পেয়েছিল।