হুগলি, ২৭ ফেব্রুয়ারি:- আবার বিজেপি নেতার নামে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে পোস্টার। চন্দননগরের পর এবার চুঁচুড়ায়। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার আগেই এভাবে বিজেপির প্রার্থী পদের পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঘড়ির মোড়, তিন নম্বর গেট সহ চুঁচুড়ার একাধিক জায়গায় পড়েছে পোস্টার। আবারও রাজনৈতিক তরজায় সরগরম হয়ে উঠলো জেলা সদর। পোস্টারে রাজ্য বিজেপি সম্পাদক দিপাঞ্জন গুহকে পদ্ম ফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার আবেদন। লেখা হয়েছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দিপাঞ্জন গুহকে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। শনিবার সকালে খোদ আরএসএস ভবন সংলগ্ন চকবাজার অঞ্চলে, বিজেপি জেলা কার্যালয় সংলগ্ন ৩ নং গেট এবং চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় এলাকার একাধিক জায়গায় এই পোস্টার নজরে পড়েছে। এবারের পোস্টারে দিপাঞ্জন বাবুর ছবি দেওয়া হয়েছে, নিচের অংশে লেখা হয়েছে আমরা দাদার অনুগামী। বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপি জেলা সংগঠনে দিপাঞ্জন বাবুর ভাবমূর্তি একেবারেই ভালো নয়।
ওনার দৌলতেই জেলা জুড়ে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে গোষ্ঠী রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবুও বিজেপি রাজ্য সম্পাদক থাকার সুবাদে দিপাঞ্জন বাবু কৌশলে জেলার একাধিক আসনে প্রার্থী পদের দাবিদার হয়ে রয়েছেন। বিশেষ করে চন্দননগর এবং চুঁচুড়ার আসনে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আগেই তাঁর নামে পোস্টার পড়েছিল চন্দননগরে। এবার পোস্টার পড়লো চুঁচুড়ায়। পোস্টার কাণ্ডে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে দিপাঞ্জন বাবুকে প্রার্থী চাইছে না দলেরই একাংশ। যদিও দীপাঞ্জন বাবু বলেছেন, এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাছাড়া বিজেপি প্রার্থীর নাম এভাবে ঘোষণা করা হয়না। বিজেপি শৃঙ্খলা পরায়ন দল। দলীয় নেতৃত্ত্বই প্রার্থী তালিকা তৈরি করে। ফলে তাঁকে বদনাম করার জন্যেই তৃণমূল শহর জুড়ে এই পোস্টার মেরেছে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুবীর ঘোষ বলেছেন, একই ব্যক্তি নামে বার বার পোস্টার পড়ছে। এটা পরিষ্কার ওদের দলের গোষ্ঠী দ্বন্ধের বহিঃপ্রকাশ। খোঁজ নিলেই দেখা যাবে একাধিক জায়গায় উনি প্রার্থী পদের দাবিদার হয়ে রয়েছেন। শৃংখলাপড়ায়ন বিজেপি দলের এটাই নমুনা।