হুগলি , ২১ ফেব্রুয়ারি:- সিরিয়াল কিলার দেখা যায় কিন্তু এই যুবক সিরিয়াল ধর্ষক! এমনই অভিযোগ বিশাল বর্মার বিরুদ্ধে। অনধিক ৬৬ জন মহিলাকে ভয় দেখিয়ে ব্ল্যালমেল করে ধর্ষন করেছে বিশাল। বিশাল ও তার বন্ধু সুমন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্যান্ডেল কেওটা ত্রিকোন পার্কের বাসিন্দা বিশাল বর্মা। ফ্লিপকার্টের ডেলিভারি বয় হিসাবে কাজ করে। সামগ্রী ডেলিভারি দিতে গিয়ে ফিডব্যাক দেওয়ার অছিলায় মহিলাদের ফোন নম্বর নেয়। হাই হ্যালো গুড মর্নিং মেসেজ পাঠিয়ে আলাপ জমায়। বন্ধুত্ব তৈরী করে। ভিডিও কল করে ছবি তুলে রাখে।
সেই ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে। বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। মূলত তার শিকার হয় গৃহবধুরা। সম্প্রতি চুঁচু্ড়ার গৃহবধুর সঙ্গে একই ধরনের কাজ করে অভিযুক্ত। ওই গৃহবধু পুলিকে জানায়, তার বাড়িতে ফ্লিপকার্টের সামগ্রী দিতে গিয়ে মোবাইল নম্বর চায়। বলে ফিড ব্যাক দেবেন কেমন তাদের সার্ভিস। তার মোবাইলে মেসেজ পাঠাতে পাঠাতে কয়েকদিনেই বন্ধুত্ব জমায়। ভিডিও কল করে।এরপর একদিন যুবকের বাড়িতে গেলে গৃহবধুকে ধর্ষন করে বিশাল। বন্দুক ঠেকিয়ে গায়ের গহনা চায়।মহিলা দিতে অস্বীকার করলে বিশাল জানায় সে তার বন্ধুকে ডেকে এনে তাকে দিয়েও ধর্ষন করাবে। এরপর মোবাইল থেকে বেছকিছু ছবি দেখায় মহিলাকে। যেখানে দেখা যায় আরো অনেক মহিলার সঙ্গে একই কাজে লিপ্ত সে। বিশাল জানায় গৃহবধু তার ৬৬ তম শিকার। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে চুঁচু্ড়া থানার পুলিশকে গোটা ঘটনা জানান ওই মহিল। চুঁচু্ড়া থানার অফিসার তীর্থ সারথি হালদারের নেতৃত্বে একটি দল শনিবার রাতে ত্রিকোন পার্কে হানা দেয়। বিশাল বর্মার বাড়িতে ঢুকে যখন গ্রেফতার করে সে সময় এক মহিলার সঙ্গে লিপ্ত ছিলো অভিযুক্ত। পুলিশ ওই মহিলাকে জেরা করে জানতে পারে তাকেও একই ভাবে ভয় দেখিয়ে কুকীর্তি করছিলো বিশাল।বিশালের মোবাইল ও তার কাছে থাকা বেশ কিছু চিপে অসংখ্য ছবি পায় পুলিশ যেখানে অভিযুক্তের কুকীর্তি ধরা পড়ে। সেখানেই ভিডিওতে পুলিশ দেখতে পায় হাতে বন্দুক নিয়ে বিশাল তার পায়ের কাছে হাতজোর করে আছে মহিলা।
এরকম বেশকিছু ছবি পায় পুলিশ। যদিও পুলিশি জেরায় বিশাল জানায় সেটা আসল বন্দুক না, আর যাদের ছবি আছে তারা কলগার্ল। ছবি দেখেই বিশালের বন্ধু সুমন মন্ডলের কথা জানতে পারে তদন্তকারীরা। পেশায় রঙ মিস্ত্রী সুমনেরও বাড়ি কেওটাতেই।তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। দুজনকেই আজ চুঁচু্ড়া আদালতে পেশ করে দশ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। সুমন চার মাস আগে বিবাহ করেছে তার স্ত্রী গর্ভবতী।স্বামী গ্রেফতারের খবর পেয়ে শ্বাশুরিকে নিয়ে থানায় আসে।সুমননের মা জানিয়েছেন তারা এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না। থানায় এসে জানতে পারেন। তার ছেলে বিশালের পাল্লায় পড়ে এই কাজ করেছে। ছেলেকে বিশালের সঙ্গে মিশতে বারন করতেন মা।তবে ছেলে যে দোষ করেছে তার জন্য শাস্তীর দাবীও করেন তিনি।