এই মুহূর্তে জেলা

দাওয়ায় বসে “রাজনৈতিক” ভোজন বিজেপি সাংসদের ; বিপদে উধাও ! তৃণমূলের “স্বাস্থ্যসাথী”তেই প্রান ফিরলো গৃহবধুর!


সুদীপ দাস , ১১ ফেব্রুয়ারি:- চন্দননগর থানার গোন্দলপাড়ার বাসিন্দা পি আনন্দ রাও। পেশায় তিনি গোন্দলপাড়া জুট মিলের শ্রমিক। মাস দু’য়েক আগে রাজনৈতিক কর্মসুচীতে তাঁর বাড়িতেই বসে খেয়ে গেছেন হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী, রাজ্য নেতা দীপাঞ্জন গুহ, হুগলির সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জীরা। মধ্যাহ্নভোজে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের আহার পরিবেশন করেছেন আনন্দর সহধর্মিনী পি. লতা রাও(৪৩)। খাওয়ার সাথে-সাথে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তোলা হয়েছিলো ছবি। উপস্থিত ছিলেন একাধিক সংবাদমাধ্যমও। সংবাদমাধ্যমের সামনে আহারের মানের গুনগান করার পাশাপাশি এই পরিবারের পাশে থাকার গালভরা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন সাংসদ সহ বিজেপি নেতা কর্মীরা। ডিসেম্বরে করা সেইসমস্ত প্রতিশ্রুতির কোনটাই বাস্তবায়িত হলো না রাও পরিবারের কাছে। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পরেন আনন্দর স্ত্রী লতাদেবী। জানা যায় তাঁর পেটে টিউমার হয়েছে। অস্ত্রপচারের জন্য দরকার অনেক টাকা। আনন্দ প্রথমে ভেবেছিলেন এই তো হেভিওয়েট সাংসদ আমাদের বাড়িতে খেয়ে গেছেন। বিপদে উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন।

তাই বিজেপিকে বিষয়টি জানালে স্ত্রীর চিকিৎসায় অসুবিধা হবে না। কিন্তু আনন্দর অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বদের বিষয়টি জানালেও কোনরূপ সহযোগীতা মেলেনি। আর ইচ্ছা থাকলেও হেভিওয়েট সাংসদের নাগাল পাননি তিনি। তাঁর বক্তব্য পরে বিষয়টি জানতে এগিয়ে আসেন ভদ্রেশ্বরের পুর-প্রশাসক প্রকাশ গোস্বামী। প্রকাশবাবুর হস্তক্ষেপেই তরিঘড়ি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করা হয় রাও পরিবারের। এরপর ভদ্রেশ্বর পুরসভা পরিচালিত অঙ্কুর হাসপাতালে চলতি মাসের ৮ তারিখ ভর্তি হন লতাদেবী। পরের দিনই তাঁর সেখানে সফল অস্ত্রপচার হয়। হাসপাতালের বেডে শুয়ে লতাদেবী বলেন এখন আমি সুস্থ। বিজেপি নয়, তৃণমূলের প্রচেষ্টাতেই আমার চিকিৎসা হয়েছে। একই বক্তব্য আনন্দবাবুরও। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বক্তব্য রাও পরিবার নাকি মিথ্যা অভিযোগ করছে। আনন্দবাবু তাঁদের কাছে যায়নি। অন্যদিকে, যার হাত ধরে সুস্থ হলেন লতাদেবী সেই পুরপ্রশাসক প্রকাশবাবু বলেন বর্তমানে বাইরে থেকে কিছু লোক এসে সাধারনের বাড়িতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করছেন শুধু লোকদেখানোর জন্য। তারপর আর সেই বাড়ির দিকে ফিরেও তাঁকান না। কিন্তু আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি। আমরা সর্বদা সাধারনের মানুষের পাশে থাকি।