কলকাতা , ৯ ফেব্রুয়ারি:- রাজ্যের মানুষ ভয়ের আবহে রয়েছেন। তারা এখন মুখ খুলে সত্যি কথা বলারও সাহস পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর।কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে ‘নির্ভীক সুভাষ’ নামে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। সেখানেই তিনি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুরবস্থানিয়ে ফের একবার সরব হন। রাজ্যপাল বলেন, বর্তমানে বাংলায় সম্পূর্ণ ভয়ের বাতাবরণের সৃষ্টি হয়েছে। যেদিন থেকে তিনি রাজ্যপাল হয়ে এসেছেন তখন থেকেই তিনি রাজ্যে এই বাতাবরণ দেখছেন। এমনকি এক বস্তা সিমেন্ট কিনতে গেলেও সিন্ডিকেটের শিকার হতে হয় অথচ পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও চুপ করে থাকে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ভিকটোরিয়ার এই প্রদর্শনীতে আজাদ হিন্দ ফৌজ এর ব্যব্যহৃৎ অস্ত্রশস্ত্র ও নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন সরঞ্জাম রাখা হয়েছে।রাজ্যপাল ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এর পাশাপাশি বর্তমানে বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়েও সরব হন।
সিন্ডিকেট ও কাটমানির পয়সা কোথায় যাচ্ছে এবং সিন্ডিকেট চক্রের পাণ্ডাদের বাঁচানোর জন্য পুলিশ ফোর্স কেন পৌঁছাচ্ছে, এই ঘটনার পেছনে কাদের হাত রয়েছে পুরো বিষয়টর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিৎ বলে রাজ্যপাল মন্তব্য করেন। রাজ্যপালের দাবি সকলেই সব কিছু জানেন।কিন্তু কেউ সাহস করে মুখ খুলতে পারেন না। যারা রাজভবনে আসেন এবং অনেক কিছু কথা বলেন এবং সর্বোপরি নিজের নাম লুকিয়ে রাখার অনুরোধ করেন। কারণ তারা ভয় পান। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেই বিষয়ে তিনি এদিন জোর দিয়েছেন। ভয় হিংসা এবং সরকারি আধিকারিকদের পক্ষপাত দূর করতে পারলে তবেই অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে রাজ্যপাল মনে করেন। সরকারি আধিকারিকরা যেন কোনভাবে রাজনীতির শিকার না হয় সেই বিষয়ের ওপর তিনি বারবার জোর দিয়েছেন। তার কারণ সরকারি আধিকারিক সরকারের কর্মচারী তাদের দায়িত্ব সরকারের কাজ করা। কোন রাজনীতির শিকার হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি বলেন ভয় এবং সংবিধান এবং গণতন্ত্র কখনো একসঙ্গে চলতে পারে না। আমাদের সবার উচিত গণতন্ত্রে সংবিধান মেনে চলা।