তরুণ মুখোপাধ্যায় , ৭ ফেব্রুয়ারি:- অসুস্থ মানুষ যেন সঠিক চিকিৎসা পায় সেই লক্ষ্যে আজ রিষড়ার বাঙ্গুর পার্কে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ মাতৃ সদনটি নব রূপে আত্মপ্রকাশ করলো। এদিন সন্ধ্যায় এটির উদ্বোধনের পর রিষড়া পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক বিজয় সাগর মিশ্র জানান যে শুধুমাত্র ব্যাবসায়িক দিক না সাধারণ মানুষ যাতে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেতে পারেন সেইটাই লক্ষ্য হবে আমাদের এই নতুন হসপিটাল। এর ২০০৫ সালে বাম আমলে এই হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে এলাকাটি একটা ভূত বাংলায় পরিণত হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারই নির্দেশে এই হাসপাতালটি একেবারে সম্পূর্ণরূপে নতুনভাবে গড়ে তোলা হল। নতুন ঝাঁ চকচকে হাসপাতালটির বর্তমানে শয্যা সংখ্যা ষাটটি।
মেটারনিটি সার্জিক্যাল সহ বিভিন্ন রকম চিকিৎসাব্যবস্থা যেমন এখানে থাকবে তার সঙ্গে সঙ্গে উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ডায়াগনস্টিক পরিষেবা এই হাসপাতাল থেকে দেয়া হবে। আজকের হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এটির উদ্বোধন করে কল্যাণ বাবু জানান যে রিষড়া পৌর সভার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ডের প্রত্যেক মেম্বার তারা প্রাণপাত করার ফলে আজ এই হসপিটালটি গড়ে উঠেছে। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল। তারপর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আড়াই বছরের মাথায় আজকেই হসপিটালটি নতুন রূপ পেয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়নের যোগ্য সারা বাংলা জুড়ে চলছে তারই একটি অঙ্গ হচ্ছে আজকের এই হাসপাতালটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম বাংলায় প্রতিটি জেলার প্রতিটি গ্রাম গঞ্জে মানুষ যাতে সুখে স্বাচ্ছন্দে থাকতে পারেন তার ব্যবস্থা তিনি করেছেন।
অথচ আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের বিরোধীপক্ষ যারা আছে তারা খালি কুরুচিকর মন্তব্য এবং মানুষকে প্ররোচনা দেওয়া ছাড়া আর তাদের কোনো কাজ নেই। ধর্মকে তারা আজ রাজনীতির আঙ্গিনায় নিয়ে এসেছে। যেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মেনে নেবে না এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হয়ে তাকে আবার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক ডক্টর সুদীপ্ত রায় এবং রিষড়া পৌরসভার পৌর অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের সমস্ত সদস্যগন এবং রিষড়া শহরের বহু গণ্যমান্য মানুষ এবং চিকিৎসকবৃন্দ।