এই মুহূর্তে জেলা

পুলিশকে দিয়ে গণনায় কারচুপি করে ঝাড়গ্রামের জেলা পরিষদ দখল করেছে তৃণমূল – শুভেন্দু অধিকারী ৷


ঝাড়গ্রাম , ২৭ জানুয়ারি:- জঙ্গলমহল আগেই জানিয়ে দিয়েছে তারা বিজেপির সঙ্গে আছে। ঝাড়গ্রামে এসে বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত ঝাড়গ্রাম শহরের সার্কাস মাঠে বিজেপির পক্ষ থেকে আয়োজিত হয়েছে যোগদান মেলা। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম, জেলা সভাপতি সুখময় সতপতি সহ আরও অন্যান্যরা। এই সভা শেষে দিলীপ বাবু সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “ইলেকশন এখনো শুরু হয়নি, ইলেকশনের ডিক্লেয়ার হয়নি, কেন্ডিডেট ডিক্লেয়ার হয়নি। এ তো খালি আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি তাতেই এই অবস্থা। ইলেকশন হলে কি হবে দেখবেন।” আগামী ২৮ তারিখ ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার ডাকে হেমন্ত সরেন আসছেন ঝাড়গ্রামে সভা করতে এবিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,”প্রশান্ত কিশোরের অনেক বুদ্ধি খাটাচ্ছেন অনেক খরচে করেছেন৷ আমরা আমাদের করবো। আমাদের কাছে একাধিক আদিবাসী মন্ত্রী আছেন। আমরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে তিনজন আদিবাসী এমপি কে পাঠিয়েছি। জেনারেল সিটে আদিবাসী নেতা। আমাদের পাশে বাবুলাল মারান্ডী আছেন, অর্জুন মুন্ডা আছেন, ওখান থেকে আমাদের ময়ূরভঞ্জের এমপি আছেন। তারা সব এখানে এসেও ছিলেন।

আমাদের কাছে এক সে এক আছেন সফল ব্যক্তি৷ আর তাদেরকে আমরা কাজে লাগাবো। আমার মনে হয় কারো লাগবে না। এখানে জঙ্গল মহল আগেই জানিয়ে দিয়েছে তারা বিজেপি চায়। দল ভাঙানোর চেষ্টা হবেই স্বাভাবিক। প্রত্যেকে প্রত্যেকের মতো খেলবে।”এদিনের সভা থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, হাতের তালুর মতো ঝাড়গ্রাম জেলাকে আমি চিনি৷ শহরকে চিনি৷ আমি জানি পঞ্চায়েতে নমিনেশন করতে অনেককে দেয়নি৷ আমি জানি বিডিও অফিসের সামনে লাঠি সোটা বোমা বন্দুক নিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে৷ আমি জানি মিথ্যা মামলা দিয়ে অপহরণ করে রাখা হয়েছিল যাতে নমিনেশন না কতে পারে৷ তারপরে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি, ভোটের দিন গোলমাল করা হয়েছে এমনকি তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মধ্যে আমি ছিলাম, মাঝ রাত্রে পুলিশকে দিয়ে গণনায় কারচুপি করে ঝাড়গ্রামের জেলা পরিষদ দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷” তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন,”আমি সব সভাতে বলছি ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলা পরিষদ দিলীপ বাবুরা পেয়েছিলেন বিজেপি পেয়েছিল৷ গায়ের জোরে রাত দুটো-আড়াইটা-তিনটা পর্যন্ত সমস্ত পদ্মফুলের বান্ডিল ৫০ টাকার বান্ডিল উপরে একটা করে জোড়া ফুলের ব্যালট দিয়ে বান্ডিল গুলোকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ আপনাদের আসল জনমত প্রতিফলিত হয়নি৷”