এই মুহূর্তে জেলা

তৃণমূলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে গোয়েঙ্কা সিইএসসি থেকে শ্রমিক ছাঁটাই করেছে – অর্জুন সিং।

ব্যারাকপুর, ৮ জানুয়ারি:- তৃণমূলের হাতে হাত মিলিয়ে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা যে ভাবে সিইএসসি থেকে শ্রমিকদের ছাঁটাই করছে,তাতে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিইএসসিকে ওই শ্রমিকদের চাকরী ফিরিয়ে দিতে হবে। নয়তো এই জায়গা ছেড়ে গোয়াঙ্কাকে চলে যেতে হবে। শুক্রবার টিটাগড়ের বিবেকনগরের সিইএসসি গেটের উল্টোদিকে বিজেপির এক সভায় এসে এমনই হুঙ্কার দিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি এদিন বলেন,তৃণমূল কংগ্রেস সঙ্গে হাত মিলিয়ে গোয়েঙ্কা শ্রমিকদের ছাঁটাই করছে। বহু শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা না খেতে পেয়ে মড়ছে। আগামী নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ওই সমস্ত শ্রমিকদের চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় গোয়েঙ্কাকে এই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হবে। এদিন তিনি শুভেন্দু অধিকারকীকে উদ্দেশ্য করে অভিষেকের করা উপসর্গহীন ভাইরাস মন্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন,অভিষেক ব্যানার্জি নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। উনি যেখানেই যাচ্ছেন উনার আশেপাশে কয়লা চোর, গরু পাচারকারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই উনি নিজের ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেছেন। আর সেই জন্যই উনি এই ধরনের মন্তব্য করছেন। এদিন সাংসদ আরও বলেন ,অভিষেক ব্যানার্জি যে ভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করছেন তাতে আগামী নির্বাচনে পুর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বহু জেলায় শাসকদল একটাও আসন পাবে না।

সম্প্রতি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি তার দলেরই সাংসদ শিশির অধিকারী কে নিয়ে কটু মন্তব্য করেন। সেই পরিপ্রক্ষিতে এদিনের সভায় ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের প্রতিক্রিয়া, শুধু শিশিরদাকে কেন, তৃণমূল দল কোন সিনিয়র লিডারকেই সন্মান করতে জানে না। একমাত্র সৌগত রায় ও সুব্রত মুখার্জি এদের এদের কোথাও যাবার জায়গা নেই। ওরা কোথাও দাঁড়ালে জিততেও পারবে না। তাই ওরা তৃণমূলের তাঁবেদারি করছে। না হলে যারা সিনিয়র লিডার, যাদের আত্মসম্মান বোধ আছে তারা তৃণমূল দলে থাকতে পারবে না। অপরদিকে এদিনের সভায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং খড়দহের বিধায়ক তথা রাজ্যের অর্থ মন্ত্রী অমিত মিত্রকেও কমিশন মিত্র বলে কটাক্ষ করেন। তার সাফ কথা খড়দহ এলাকায় একটা পুকুরও বাঁকি নেই। সব বিক্রি হয়ে গেছে। অর্ধেক অমিত মিত্র আর বাকিটা সৌগত রায় বিক্রি করিয়ে দিয়েছেন। বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ, একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলছেন,”জল ধরো জল ভরো”। অন্যদিকে উনার অর্থমন্ত্রীর এলাকার কোন পুকুর বাকি নেই। সব বিক্রি হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে খড়দহে বিজেপির সভার পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গে এদিন অর্জুন সিংয়ের কটাক্ষ, আমাদের মিটিংয়ের কাউন্টার করতে গিয়ে ওইদিন তৃণমূলের ল্যাজে গোবরে অবস্থা হয়েছিল।

এমনকি তৃণমূল সংসদ সৌগত রায় ওইদিন কর্মীদের উদ্দেশে বাধ্য হয়ে বলতে হয়েছিল, আমি বুড়ো মানুষ আমার কথা শুনে যাও, তোমরা উঠে যেও না। এদিনের বিজেপির সভায় উপস্থিত হয়ে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, এদিন অন্যন্য দল প্রায় ১৫০ জন মহিলা কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তাছাড়া এদিনের সভায় টিটাগড়ের একজন তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন এক সিপিএম কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করেছেন। প্রত্যেকের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সাংসদ অর্জুন সিং। জেলা সভাপতি রবীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য বলেন, শুধু আমাদের দলে যোগ দিলেই হবে না। প্রত্যককে স্ক্রিনিং করে নেওয়া হবে। তার কথায় এটা তো ট্রায়াল। পিকচার এখনও বাকি আছে। এদিনের সভায় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অপর্ণা বল, টিটাগড় মন্ডল ২ এর সভাপতি রমেশ রাও, ওমপ্রকাশ গোন্ড, নিহত বিজেপি নেতা মনিশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমনি শুক্লা সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।