এই মুহূর্তে জেলা

কোচবিহার ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে অস্বস্তি তৃনমূলের, পদত্যাগ করলেন ১৬ জন পদাধিকারী

কোচবিহার , ৭ জানুয়ারি:- সামনে যতই ভোট এগিয়ে আসছে ততই যেন ক্ষোভের মাত্র বেড়ে যাচ্ছে শাসক দলের নেতা কর্মীদের। সেই ক্ষোভ কমাতে গিয়ে জেলা সভাপতি নিজেই কমিটি ঘোষণা করেন। এই কমিটি ঘোষণার সাথে সাথে গতকালেই ইস্তাফা দেন কোচবিহার পূর প্রশাসক ভূষণ সিং। আর তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতে সেই কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভের জেরে কোচবিহার ১ (এ) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির ১০ জন পদাধিকারী ও সদস্য একযোগে পদত্যাগ করলেন। ওই পদত্যাগ পত্রে বেশ কয়েকজন অঞ্চল কমিটির পধাদিকারি ও সদস্য রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন এবিষয়ে নয়া কমিটির কোচবিহার ১(এ) ব্লক কমিটির সহ সভাপতি সিরাজুল হোক বলেন, “ব্লক কমিটি থেকে ১০ জন ও হারিভাঙ্গা ও ফলিমারি অঞ্চল কমিটির ৬ জন পধাধিকারি ও সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেছেন। ইতিমধ্যেই সেই পদত্যাগ পত্র কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” জানা গিয়েছে, পদ্যতাগ করা পদাধিকারিকদের মধ্যে রয়েছেন কোচবিহার ১ (এ) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি সেরাজুল হক, নজরুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, সদস্য পরেশ চন্দ্র রায়, সাকিনুর রহমান, সোলেমন আলী, সুধীর রায়, বসির মিয়াঁ।

এছাড়াও হারিভাঙ্গা অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান হাবুরাম বর্মণ, সহিদুল মিয়াঁ, নিতাই রায়, ফলিমারি অঞ্চল কমিটির সদস্য শিশির ঈশোর, নরেন্দ্র নাথ বর্মণ ও অনিল সরকার। গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় সাংবাদিক বৈঠক করে বেশ কিছু ব্লক, অঞ্চল ও ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করেন। ওই কমিটি ঘোষণা করার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে কোচবিহার শহর ব্লক কমিটির সহ সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন পুরসভার প্রশাসক ভূষণ সিং, এরপর তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকে জেলা সভাপতির কমিটির বিরুদ্ধে নতুন একটি কমিটি ঘোষণা করেন সেখানকার স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিন সকালে কমিটি গঠন প্রকাশ্যে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াঁ। তিনি জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়কে রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ বাচ্চা ছেলে বলে কটাক্ষ করেন। তারপরেই কোচবিহার ১ (এ) ব্লক কমিটির বেশ কিছু সদস্যের একযোগে পদত্যাগ করার ঘটনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে কার্যত শোরগোল ফেলে দেয়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের অভ্যন্তরে এই ক্ষোভ বিক্ষোভ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে যে অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।