এই মুহূর্তে জেলা

বিশ্বভারতীর মাটিতে দাঁড়িয়ে ‘উপাচার্য’কে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বীরভূম , ২৯ ডিসেম্বর:- বিশ্বভারতীর মাটিতে দাঁড়িয়ে ‘উপাচার্য’কে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ‘বিজেপি’র লোক বলে কটাক্ষ করেন মমতা। মঙ্গলবার বোলপুরের লজ মোড় থেকে দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার হেঁটে জামবুনিতে এক সভায় অংশগ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিশাল পদযাত্রায় ছিল লোকের ঢল। স্বতস্ফূর্তভাবে মানুষ এদিন মমতার সঙ্গে পা মিলিয়েছিলেন। মিছিলে ছিল রবীন্দ্রনাথময়। ছিল বাংলা সংস্কৃতি। রবীন্দ্রনাথের এই পীঠস্থান থেকেই এদিন নাম না করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “টাকা দিলে গরিব মানুষ নিয়ে নিন, ভোটে ওদের বিদায় দিন। টাকা দিয়ে কয়েকটা এমএলএ কিনে নিলে, তৃণমূলকে কেনা যায় না। বিজেপির মার্কামারাকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য করে নিয়ে এসেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুরে আমরা এসব করি না।”

এদিন প্রথম থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন মমতা। তাঁর কথায় উঠে এসেছে, “কিছুদিন ধরে কুকথায় রবীন্দ্রনাথ-অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ করা হচ্ছে। নতুন করে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখানোর দরকার নেই। সোনার বাংলার স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথই। বিশ্বভারতীর, শান্তিনিকেতনের অপমান করা হচ্ছে। বিশ্বভারতীতে ঘৃণ্য রাজনীতির আমদানি করা হয়েছে। ঘৃণ্য-বিদ্বেষমূলক রাজনীতির আমদানি হয়েছে।” বর্তমানে বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আনাগোনা নিয়ে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “প্রতি সপ্তাহে একবার চাই ফাইভ স্টারের খাবার। অথচ দেখাচ্ছে আদিবাসী বাড়ির খাবার। আদিবাসীদের অপমান করার অধিকার নেই। এদের দলীয় পতাকা বহন করে এজেন্সির লোকেরা।”