এই মুহূর্তে জেলা

ভোট আসে ভোট যায় , কানাইপুর নৈটি রোড নিয়ে নরকযন্ত্রণার সুরাহা হয়না মানুষের।

হুগলি , ২৮ ডিসেম্বর:- ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু কোন্নগরের কানাইপুর নৈটি রোড নিয়ে সাধারণ মানুষের নরকযন্ত্রণার কোনো সুরাহা হয়না। সাধারণ মানুষ ভালো রাস্তার বদলে পায় শুধুই প্রতিশ্রুতি। দীর্ঘ বহু বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পরে রয়েছে কোন্নগর স্টেশন থেকে পারডানকুনি অবধি গুরুত্বপূর্ণ নৈটি রোড। এই রাস্তা কোন্নগর স্টেশনের একদিকে জিটি রোড ও পারডানকুনি এর দিল্লী রোডের সংযোগকারী প্রধান রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন বহু মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু মানুষের অসুবিধার কথা দেখে ও জেনেও হুশ নেই প্রশাসনের। রাস্তা একেই দীর্ঘদিন বেহাল ছিলই আবার গোদের উপর বিষফোঁড়া এখন রাস্তায় জলের লাইনের কাজ চলছে। তাতে আরো করুন হয়েছে পরিস্থিতি। দীর্ঘদিন ধরে জলের পাইপ বসানোর কাজ চললেও কবে তা শেষ হবে সেই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারো।

এই বেহাল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে প্রাণ অষ্ঠাগত হয়ে উঠছে মানুষের। এলাকাতেই রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কানাইপুর হাসপাতাল সেখানে রুগী আসতে যেতে সমস্যায় পড়ছে। যারা এই রাস্তায় টোটো বা অটো চালান তারা জানাচ্ছে এই বেহাল রাস্তার কারণে প্রত্যেকদিন খারাপ হচ্ছে তাদের গাড়ি। রাস্তার পাশে যাদের বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে এই বেহাল রাস্তার কারণে মার খাচ্ছে তাদের ব্যবসা। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে কেন বেহাল আর কবেই বা ঠিক হবে তার সঠিক উত্তর জানা নেই কারো। এলাকার বাসিন্দা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব মানস রায় বলেন এই রাস্তা এখন সত্যি মানুষের কাছে লজ্জার। দীর্ঘ বাম আমলেও হয়তো খারাপ হতো কিন্তু এখনের মতো খারাপ হয়তো আগে কখনো হয়নি।

সামনেই বিধানসভা ভোট এই নৈটি রোড খারাপের প্রভাব যে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটে পরবে তা পরিষ্কার জানিয়ে দেন মানস বাবু। ওপর দিকে কানাইপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছেলাল যাদব বলেন তাদের জেলা পরিষদের মিটিং হয়েছে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে রাস্তা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের অভিযোগ তারা শুধু প্রতিশ্রুতি পাচ্ছে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। স্থানীয় বিজেপি দলের যুবনেতা রাজেশ রজক বলেন তারা এই রাস্তা নিয়ে বারংবার সরব হয়েছেন আর প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কিন্তু তাতেও হুশ ফেরেনি কারো।এর উত্তর মানুষ আগামী বিধানসভা ভোটে দিয়ে দেবে তৃণমূল প্রশাসনকে।তবে বলাই যায় এই গুরুত্বপূর্ণ নৈটি রোড কবে সংস্কার হবে তার উত্তর অজানা সাধারণ মানুষের।