কলকাতা , ২৩ ডিসেম্বর:- বাংলাকে তিনি গুজরাট হতে দেবেন না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পুনরায় জানিয়েছেন। কলকাতার উত্তীর্ণ মঞ্চে আজ চলতি বছরের সঙ্গীতমেলার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে তিনি বলেন,‘সম্প্রীতির সবচেয়ে বড় জায়গা সঙ্গীত। মানবজীবনে কোনও বিভেদ নেই। সঙ্গীতের মঞ্চ বিভাজনে বিশ্বাস করে না। বিভেদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পী সমাজের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। আগামী ৮ দিন ধরে মোহরকুঞ্জের মুক্তমঞ্চ-সহ শহরের একাধিক জায়গায় চলবে এই মেলা। মেলায় অংশ নেবেন প্রায় পাঁচ হাজার শিল্পী। সঙ্গীতমেলার উদ্বোধনী মঞ্চে রাজ্য সরকারের তরফে কৃতী শিল্পীদের সঙ্গীতসম্মান ও সঙ্গীত মহাসম্মান পুরষ্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে পুরস্কার প্রাপক এক শিল্পীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে পা মেলাতেও দেখা যায়। এই বছর সঙ্গীত মহাসম্মাণ পেয়েছেন অসীমা মুখার্জী। ২১ জন পেয়েছেন সঙ্গীত সম্মাণ। এদের মধ্যে রয়েছেন শম্পা বিশ্বাস, পন্ডিত শুভেন চ্যাটার্জী, ব্রহ্মতোষ চট্টোপাধ্যায়, মীনা মুখার্জি, মংলাকান্ত রায়, মণিকমল ছেত্রী, নূর আলন, মুক্তি বৈরাগ্য, বাসন্তী হেমব্রম, হাড়িরাম কালিন্দী, সন্ধ্যারানী মাহাতো, ইমরান খান, নূরজাহান চিত্রকর ও হীরামণি মান্ডি।
কোভিড পরিস্থিতিতে আদৌ কোভিড মেলা হবে কি হবে না তা নিয়ে একটু সংশয় ছিল। কিন্তু শিল্পীদের আর্থিক পরিস্থিতির কথা ভেবেই মুখ্যমন্ত্রী এই সঙ্গীতমেলার আয়োজন করতে বলেন রাজ্য প্রশাসনকে। সেই সঙ্গীতমেলার মঞ্চ থেকেই এদিন কোভিড নিয়ে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, ‘কোভিডের মধ্যেও সুস্থ থাকতে হবে। শারীরিক দূরত্ব রাখতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। সচেতন থেকেই সমস্ত কাজ করতে হবে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ৬৩০টি মেলার আয়োজন করবে রাজ্য সরকার। এরফলে শিল্পীরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। কোভিডের বিরুদ্ধে যেমন লড়াই করতে হবে তেমনি এই পরিস্থিতি থেকেও আমাদের বার হয়ে আসতে হবে।’ উল্লেখ্য করোনা আবহে এদিনই সঙ্গীতমেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৮ দিন ধরে মোহরকুঞ্জের মুক্তমঞ্চ-সহ শহরের একাধিক জায়গায় চলবে এই মেলা। মেলায় অংশ নেবেন প্রায় পাঁচ হাজার শিল্পী।
এদিন সঙ্গীতমেলার উদ্বোধনী মঞ্চে রাজ্য সরকারের তরফে কৃতী শিল্পীদের সঙ্গীতসম্মান ও সঙ্গীত মহাসম্মান পুরষ্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে পুরস্কার প্রাপক এক শিল্পীর সঙ্গে নাচতেও দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই বছর সঙ্গীত মহাসম্মাণ পেয়েছেন অসীমা মুখার্জী। ২১ জন পেয়েছেন সঙ্গীত সম্মাণ। এদের মধ্যে রয়েছেন পন্ডিত শুভেন চ্যাটার্জী, ব্রহ্মতোষ চট্টোপাধ্যায়, মীনা মুখার্জি, মংলাকান্ত রায়, মণিকমল ছেত্রী, নূর আলন, মুক্তি বৈরাগ্য, বাসন্তী হেমব্রম, হাড়িরাম কালিন্দী, সন্ধ্যারানী মাহাতো, ইমরান খান, নূরজাহান চিত্রকর ও হীরামণি মান্ডি।