এই মুহূর্তে কলকাতা

রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন।

কলকাতা , ১৭ ডিসেম্বর:- রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের সুরেই রাজ্যের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সংশয়ের সুর শোনা গেছে কমিশনের কন্ঠেও। এমত অবস্থায় রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কড়া বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার দেশের উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন স্পষ্টই প্রশাসনের কর্তাদের ও রাজনৈতিক নেতাদের বার্তা দিয়েছেন যদি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনওরকম বেআইনি কিছু দেখা যায়, তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৎক্ষণাত হস্তক্ষেপ করা হবে। এই বিষয়ে কোনওরকম আপোষ করা হবে না। এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি’র সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপনির্বাচন কমিশনার। এই নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে সবরকম কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন সুদীপ জৈন। পাশাপাশি, তিনি সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন কোনও দলের প্রার্থীর প্রচারে যাতে কোনওরকম বাধা না দেওয়া হয়। তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেবে কমিশন। এই বিষয়ে কোনওরকম ঝামেলা বরদাস্ত করা হবে না। শুধু প্রশাসনকে সতর্কবার্তাই নয়, এদিন রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে তাদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছেন এই উপনির্বাচন কমিশনার।

উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন কমিশনরারের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। যা সাম্প্রতিককালে নজিরবিহীন ঘটনা। এদিন বৈঠক শেষে বাইরে বেরিয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কিছু মানুষ এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন। বিজেপির কিছু লোক বাহুবলীর মতো কাজ করছেন। আমরা লিখিত ও মৌখিক ভাবে সব কিছু জানিয়েছি কমিশনকে। আইন শৃঙ্খলা এখানে ভালো আছে। অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কমিশন করতে চায়। রাজ্য তাতে সাহায্য করতে চায়। কিন্তু বিজেপির কদর্য আক্রমণে তা ব্যাহত হচ্ছে। সেটা দেখার জন্যই কমিশনকে বলেছি আমরা।’ অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া জানান, রাজ্যের ভোটার লিস্ট স্বচ্ছ নয়। এখন প্রচুর ভুয়ো ভোটার আছেন। মৃত ভোটারও থেকে গিয়েছে। কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছি, নির্ভূল ভোটার লিস্ট করতে হবে। নির্বাচনের ছ’মাস আগেই কমিশন নোটিফিকেশন জারি করতে পারে। রাজ্যের যা পরিস্থিতি অবিলম্বে এখনই বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্যবেক্ষক পাঠানো হোক রাজ্যে। আসুক কেন্দ্রীয় বাহিনীও। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।