এই মুহূর্তে জেলা

আইপিএস আধিকারিকদের ডেপুটেশনে পাঠানোয় তাতে তারাই হাফছেড়ে বেঁচেছেন – দিলীপ ঘোষ।

হুগলি , ১৭ ডিসেম্বর:- বাংলার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আপনারা বিজেপিকে সমর্থন করুন এবং বাংলার উন্নয়নে বিজেপি সরকার কে নিয়ে আসুন। আজ আরামবাগে এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এইভাবেই মানুষকে আহ্বান জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান এর আগে পশ্চিমবাংলায ়কংগ্রেস সরকার হয়েছে বামফ্রন্ট সরকার হয়েছে তৃণমূল সরকার হয়েছে এবার আপনারা একবার এখানে বিজেপি সরকার গঠন করুন, দেখবেন বাংলার আমূল পরিবর্তন হবে। তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তার ভাষণে বলেন যে তৃণমূল সরকার রাজ্যের সর্বনাশ করছে। গরিব মানুষদের স্বাস্থ্য শিক্ষা বাসস্থান সব কিছু থেকে বঞ্চিত করছ। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প বাসস্থান প্রকল্প যেগুলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারাদেশে লাগু করেছেন, কেবলমাত্র পশ্চিমবাংলায় নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তৃণমূল মানুষকে তা দিচ্ছেন না।

গরীব মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাই পূরণ করেছেন, ফ্রিতে রেশন ফ্রিতে রান্নার গ্যাস এবং আয়ুষ্মান ভারত এর মতন যে স্বাস্থ প্রকল্প সারা ভারতবর্ষের লাগু হয়েছে যা থেকে বাংলার মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। ভারতবর্ষের যেকোনো বড় হসপিটালে গিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমার পরিসেবা পেতে পারেন তা কিন্তু এখানকার সরকার কেবলমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য মানুষকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছেন, এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দিলীপ বাবু বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যের টাকা সবই চলে যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। আমফানের সময় যে টাকা এসেছে তা চুরি করে করেছে। গরীব মানুষরা টাকা পাননি। তিনি বলেন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে কিভাবে তৃণমূলের ডুবন্ত জাহাজ থেকে একা একা নেতাকর্মীরা মান সম্মান বাঁচাতে চলে যাচ্ছে। আমি বলেছিলাম যে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির চালচিত্র বদলে যাবে সেটা এখনই দেখতে পাচ্ছেন।

শুভেন্দুবাবু যদি আমাদের দলে আসেন তাকে স্বাগত। শুধু শুভেন্দুবাবু নয় আরও অনেক তৃণমূল নেতা কর্মীরা দলের স্বৈরতন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে দল ছেড়ে দিচ্ছেন। দীলিপবাবু অভিযোগ করেন এখানকার কৃষকরা যে ফসল ফলায় তার দাম তারা পান না। আলুর দর 50 টাকা উঠেছে অথচ হুগলি জেলার গরীব কৃষক রা সেই আলু 5 টাকা কিলো দরে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। বাকি টাকাটা কাদের পকেটে গেছে তা আপনারা প্রশ্ন করুন তৃণমূলের কাছে। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে ফসল ফলানো ধানের সহায়ক মূল্য কিন্তু পাইনি কৃষকরা একশ্রেণীর নেতাদের পকেটএ সেইসব টাকা ঢুকেছ। এদিনের সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন যে যে সমস্ত পুলিশ অফিসারদের ডেপুটেশনের ডেকে পাঠানো হয়েছে তাতে তারা হাফছেড়ে বেঁচেছেন। কারণ এই রাজ্য এই সরকারের অধীনে তাদের কাজ করা অসম্ভব ব্যাপার।