এই মুহূর্তে জেলা

“নতুন বোতলে পুরনো মদ”, নাম না করে কোচবিহারের কর্মী সভা থেকে নিশীথ মিহিরকে আক্রমন মমতার।

কোচবিহার , ১৬ ডিসেম্বর:- ২১-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে গত পরশু উত্তরবঙ্গ সফরে আসলেও গতকাল কোচবিহারের মাটিতে পা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল প্রথমে কোচবিহার বিমান বন্দরে নেমে সেখানে বিধায়কদের সাথে একটি কর্মী বৈঠক করে নবনির্মিত এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং তারপরই শিবযজ্ঞ মন্দিরে পূজা করে মদন মোহন মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরই আজ কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে কর্মীসভায় যোগ দিয়ে বিজেপি তো বটেই সাথে সাংসদ নিশীথ সহ প্রাক্তন বিধায়ক তথা সদ্য বিজেপির নেতা মিহির গোস্বামীকে নাম না করে একহাতে নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই সভা থেকে নাম না করে নিশীথ প্রামাণিকের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘শান্ত কোচবিহারকে অশান্ত করছে। প্রতিদিন হিংসা ছড়াচ্ছে। কুৎসা রটাচ্ছে, চরিত্রহনন করছে। ওর সম্পর্কে রিপোর্ট এসেছিল দল থেকে। তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। বিজেপি পুরাতন মদ বোতলে নতুন মদ দিয়েছে। এখন প্রতিদিন জেলা জুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছে।

অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িত। এপার ওপার অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িত।’ এরপরই নাম না করে মিহিরের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেণ, অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের দল থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আর তাঁকে বিজেপি দলে নিয়েছে।’এ নিয়ে মমতার কটাক্ষ, ‘এ আসলে নতুন বোতলে পুরনো মদ।’ একইসঙ্গে এদিন তিনি মিহির গোস্বামীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সে নানারকম মিথ্যা কথা বলে, কুৎসা করে, চরিত্রহনন করে, টাকা–পয়সা খরচ করে, এপার ওপারে অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িত থেকে একটা নির্বাচনে পগারপাড় হয়েছে। কিন্তু আগামীদিনে কী হবে?’ তবে কোচবিহার জেলা যা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য সুবিখ্যাত সেই কোচবিহারের বুকেই এদিন জেলা তৃণমূল পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সবার সামনে মঞ্চে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন মমতা। মানুষও একমঞ্চে পাশাপাশি দেখেছে রবি, পার্থ, উদয়ন, বাসুনিয়া, অর্ঘ্যকে। ভিড়ে ঠাসা সভাতে তাই মমতাও পাল্টা চেয়ে নিয়েছেন বিধানসভায় দলের স্বপক্ষে ভোট দেওয়ার কথা। সায় মিলিয়েছে জনগনও। উল্লেখ্য, দল ছাড়ার আগেই মিহির গোস্বামী ফেসবুকে সাফ জানিয়েছিলেন, ‘আমার দল আর আমার নেত্রীর হাতে নেই, অর্থাৎ এই দল আর আমার নয়, হতে পারে না।