হুগলি , ১০ ডিসেম্বর:- যারা বাংলা বলতে পারেনা পড়তে পারেনা লিখতে পারেনা তারা বাংলায় এসে বলছে বাংলা দখল করবে এই ভাবেই আজ নিজেকে বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দুপুরে আরামবাগের ভিড়ে ঠাসা গড়বাড়ি ময়দানে বক্তব্য রাখেন অভিষেক। তিনি আরামবাগের মানুষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যারা এককালে সিপিএমএর হার্মাদরা এখানে লাগামছাড়া অত্যাচার করেছিল, আজকে তারা বিজেপির জল্লাদ। শান্ত আরামবাগকে অশান্ত করতে এসেছে, এদের থেকে সাবধানে থাকুন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে আহ্বান জানিয়ে বলেন রাজনৈতিকভাবে লড়াই করুন। ১০ বছরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে কাজ আর বিজেপির নরেন্দ্র মোদির ৭ বছর রের দেশ শাসন সেটা বিচার হোক পরিসংখ্যান দিয়েই, তাহলে মানুষ বুঝতে পারবে যে নরেন্দ্র মোদি কতটা পিছিয়ে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মযজ্ঞ থেকে। এ ব্যাপারে গুনে গুনে ১০ গোল খাবে বিজেপি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন সারা বাংলাজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার বইছে ।ইতিমধ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং বাসস্থান নিয়ে বাংলা সরকার মানুষের পাশে রয়েছেন। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুফল বাংলা ১০ কোটি মানুষ পাবেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ গত তিন দিনে তাদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। বিনা পয়সায় বাংলার মানুষ স্বাস্থ্যের পরিসভা পাবেন। তিনি বিজেপি নেতাদের বলেন আপনারাও এই কার্ড করে রাখুন কারণ আপনাদের ও একসময় এটা কাজে লাগবে। আজ দলের পক্ষ থেকে তৃণমূল সরকার বিগত ১০ বছরে মানুষের জন্য যে উন্নয়ন করেছে তার রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হয়েছে, এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাংলার প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে এই কার্ড। বিজেপিতে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি যে গত ৭ বছরে নরেন্দ্র মোদি বাংলার মানুষের জন্য কি করেছে সেটা বাংলার মানুষকে জানান। বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি সম্বন্ধে কোনো রকম সম্যক জ্ঞান এই সমস্ত দিল্লির নেতাদের নেই। এরা বাঙালির দল নয় দিল্লি থেকে উড়ে এসে ফাইভস্টার হোটেলে ওঠেন। দুপুরে আদিবাসীদের বাড়িতে গিয়ে ভোজন করেন আবার সন্ধায় সেই 5 স্টার হোটেলে ফিরে মস্তি করে। এটাই এদের কালচার। এরা কথায় কথায় বলে বাঙ্গালীদের কোন অবদান নেই।
ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, রামকৃষ্ণদেব থেকে শুরু করে কয়েকশো মনিষী এই বাংলায় জন্মেছেন, তারা আমাদের গর্ব। অভিষেক বাবু চ্যালেঞ্জ করে বলেন নির্বাচনের লড়াই রাজনৈতিকভাবেই হোক, হিংসা বা গন্ডগোল পাকিয়ে করবেন না। আজকে তিনি অভিযোগ করে বলেন আজকে ডায়মন্ডহারবারে এ গিয়ে নাড্ডাজী গাড্ডায় পড়ে গেছেন সেখানকার মানুষের ক্ষোভের বহিরপ্রকাশ তাদের বিরুদ্ধে সেটা তিনি দেখেছেন। দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন নাড্ডাজীৱ গাড়ি কেন সিগনাল এ আটকে ছিলেন তার জন্য তিনি দিল্লীতে চিঠি লিখেছেন। দীলিপবাবু কাছে তার প্রশ্ন যখন আমফানের ঝড়ে মানুষ বিপর্যস্ত ছিল, যখন করোনায় মানুষ কষ্টের মধ্যে ছিল। তখন কিন্তু আমাদের এই দিদি পথে পথে বেরিয়ে এই সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন আপনারা কোথায় ছিলেন সেই নিয়ে আপনারা কটা দিল্লিতে চিঠি লিখেছেন, এখন নাড্ডা জীৱগাড়ি আটকে যাওয়া নিয়ে দিল্লিতে চিঠি লিখছেন, লজ্জা করেনা আপনার।
তিনি উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন এবারের যে লড়াই, সেই লড়াইতে নিশ্চিত জিতে আবার ক্ষমতায় আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং এ বিষয়ে এখানকার তৃণমূল কর্মীদের সংঘবদ্ধভাবে লড়াইয়ের আবেদন জানান, এবং হুগলি জেলার যে ১৮ টি বিধানসভার সিট আছে তার প্রত্যেকটি তৃণমূল কর্মীরা জয়ী হন সেই প্রতিজ্ঞা করতে হবে। আজকের হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত এদিনের সভায় সকাল থেকে বহু মানুষ এসে আরামবাগের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগদান করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, আরামবাগের সংসদ অপরুপা পোদ্দার, মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, মন্ত্রী অসীমা পাত্র সহ এই জেলার সমস্ত বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত মেম্বার পঞ্চায়েত সদস্য এবং পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর এবং পুরপ্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।