এই মুহূর্তে জেলা

যেদিন বিজেপি সরকারে আসবে , প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়েই সমস্ত ফলস্ কেস তুলে নেবে – দিলীপ ঘোষ।

সুদীপ দাস , ৪ ডিসেম্বর:- যেদিন বিজেপি সরকারে আসবে, সেদিন ১ম ক্যাবিনেট মিটিংয়েই সমস্ত ফলস্ কেস তুলে নেব। শুধু বিজেপি নয়, সিপিএম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও যে কেস হয়েছে তা তুলে নেব, আর ছোট তৃণমূল নেতাদের আটকে রাখার জন্য কেস দেওয়া হয়েছে তাও তুলে নেব। আজ হুগলির চাঁপদানীতে এসে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার চাঁপদানির অ্যাঙ্গাস ময়দানে আয়োজিত বিজেপি যোগদান মেলায় উপস্থিত হন দিলীপ ঘোষ। মঞ্চে উঠেই তিনি তৃণমূলকে বিঁধতে শুরু করেন। তিনি বলেন আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিদি বহিরাগত বলছেন। বহিরাগত তো দিদির বাড়িতেই আছেন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তিনি ইঙ্গিত করে বলেন তাঁর বৌ তো সিঙ্গাপুর থেকে এসেছে। যদিও উনি সোনা নিয়ে এসেছেন। তাই তিনি বহিরাগত নন। রোহিঙ্গারাও বহিরাগত নন। কিন্তু বহু বছর আগে বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে যারা রাজ্যের জুটমিলগুলোতে কাজে এসেছেন তাঁরা দিদির কাছে বহিরাগত হয়ে গেলেন। পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের নিয়ে তাঁর কটাক্ষ দশ-বারো বছর আগে যারা চায়ের দোকানে বসে যে চা খাওয়াবে তাঁর জন্য অপেক্ষা করত। সেই নেতারা এখন কেউ গেলেই বলে আসুন চা খেয়ে যান। ১০টাকায় ভাড়ের স্পেশাল চা। যার ঝনঝনি সাইকেল নিয়ে গেলে বেল বাজানোর দরকার ছিলো না সেই এখন দামী বাইকে চাপছে, আর যার বাইক ছিলো সে কালো কাঁচ তোলা চারচাকা চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সব আপনার আমার টাকা। দিদি খালি বলেন টাকা নেই।

টাকা না থাকলে এত মেলা কোথা থেকে হচ্ছে, ক্লাবগুলোকে কোথা থেকে টাকা দিচ্ছে? ও সব লুটের টাকা, তাই টাকা দিলে নিয়ে নেবেন কিন্তু ভোট বিজেপিকে দেবেন। পাশাপাশি এদিনের সভা মঞ্চে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। তিনি বলেন যেই বিমল গুরুং-এর বিরুদ্ধে অ্যারেষ্ট ওয়ারেন্ট রয়েছে তিনি দিদির সাথে কোলকাতায় চলে এলেন। বিমলকে তো গ্রেপ্তার করার কথা। উনি যেই বললেন আমি দিদির সাথে আছি ওমনি তিনি ভালো হয়ে গেলেন। একসময়ের মাও নেতা ছত্রধর মাহাতোও এখন তৃণমূল নেতা। এদিনের এই সভামঞ্চে প্রায় এক হাজার জন বিজেপিতে যপগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।