এই মুহূর্তে জেলা

চন্দননগরের জগৎজননীর তিন রূপ বড় , মেজো , ছোট-র আরাধনা শুরু মহাষষ্ঠীতে।

সুদীপ দাস , ২০ নভেম্বর:- কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র রায়ের দেওয়ান ইন্দ্র নারায়ন চৌধুরি স্বপ্নাদেশ পেয়ে চন্দননগরে আদি মায়ের প্রতিষ্ঠা করেন। চন্দননগর চাউলপট্টি সার্নজনীন শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পুজা কমিটি দ্বারা পরিচালিত পুজোই আদি মা হিসাবে পরিচিত। কথিত আছে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে এই পুজো চন্দননগরের বুকে প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাই অনেকেই এখানকার মাকে বড়মা হিসাবে ডাকেন। সমগ্র বিশ্বের জগদ্ধাত্রী প্রতিমার হাতি মায়ের ডান দিকে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে মায়ের হাতি বাঁদিকে প্রতিষ্ঠিত। অষ্টমী-নবমী মিলিয়ে এখানে প্রায় ৪০হাজার মানুষকে বিনামূল্যে ভোগ বিতরন করা হয়। করোনা আবহে চন্দননগরের পুজোয় জৌলুস কমলেও আদি মায়ের সাবেকি আনা কিন্তু অটুট।

এখানে ভিড় কমাতে এবারে ভোগ বিতরন করা না হলেও রিতী মেনে মায়ের পুজোতে কোনরকম ঘাটতি থাকছে না। নিয়ম মেনে চতুর্থী এবং পঞ্চমীর দিন আদি মাকে শাড়ি এবং মালা ও গহনা পড়ানোর মধ্যেও আলাদা সাবেকিআনা রয়েছে। চাউলপট্টি কমিটির সদস্যদের এবারে মায়ের কাছে একটাই প্রার্থনা করোনা থেকে মুক্তি দিও বিশ্ববাসীকে! কথিত আছে চাউলপট্টির পুজোতে প্রবেশ করতে পারত না চন্দননগর কাপড়পট্টির বাসিন্দারা। তাই একদা কাপড়পট্টিতে শুরু হয় জগদ্ধাত্রীর আরাধনা। আড়াইশো বছরেরও প্রাচীন এখানকার পুজো। চন্দননগর চাউলপট্টির বড় মায়ের পর প্রতিষ্ঠিত বলে এখানকার মা মেজোমা হিসাবে খ্যাত। করোনা আবহে কিছুটা জৌলুস হারালেও নিয়ম মেনে এখানে মায়ের সাবেকি পুজোপাঠ হবে। পঞ্চমী থেকেই যার তোরজোর শুরু হয়ে গেছে।

ছোট মা বলতেই ভদ্রেশ্বরের তেতুলতলা সার্বজনীন। এবছর ২২৮ বছরে পদার্পন করলো এই পুজো। ছোট মা হিসাবে পরিচিত হলেও তেতুলবাসীর কাছে এটাই মেজো মা। কারন হিসাবে তাঁরা বলেন কাপড়পট্টির পুজোর শুরু কতদিন আগে তা কেউ বলতে পারেনা। তবে আমাদের এখানের পুজো দীর্ঘ ২২৮ বছরের পুরনো। তাই আমরা মনে করি কাপড়পট্টির আগেই আমাদের এই মায়ের প্রতিষ্ঠা। সেক্ষেত্রে এটাই মেজো মা। এই পুজোর মূল বৈশিষ্ট দশমীর দিন এখানে মহিলারা নয়, পুরুষরাই শাড়ি পরে মাকে বরন করে। ষষ্ঠীর সকাল থেকে এখানেও জগদ্ধাত্রীর আরাধনা শুরু হয়ে যায়।