এই মুহূর্তে জেলা

চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

হুগলি , ১৯ নভেম্বর:- বৃহস্পতিবার চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির। চন্দননগর স্ট্যান্ডে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিসি চন্দননগর তথাগত বসু , ডিসি হেডকোয়ার্টার সুব্রত গাঙ্গুলি, পুর কমিশনার স্বপন কুন্ডু প্রমুখ। এদিন গাইড ম্যাপের সঙ্গে শিশুদের জন্যে ব্যাজ এবং ভলেন্টিয়ার ব্যাজেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, উৎসব হবে, তবে বেশ কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে আয়োজক এবং দর্শনার্থী সকলকেই। মাস্ক না পরে থাকলে চন্দননগরে প্রবেশ করা যাবেনা। যদি কেউ শহরে মাস্ক না পরে থাকেন তাঁকে পুলিশ আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। পুজোর সময় শহরে দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা থাকছে। দূর দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের সহায়তায় চন্দননগরে ২০ টি এবং ভদ্রেশ্বর এলাকায় আরও ৮ টি মোট ২৮ টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

এই কেন্দ্রগুলিতে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের থেকে বিনামূল্যে গাইড ম্যাপ সহ অন্যান্য সহযোগিতা মিলবে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পাঁচশ পুলিশ করি মোতায়েন করা হয়েছে। একাধিক সেক্টরে বিভক্ত করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ৬ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক। সঙ্গে থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২০ জন আধিকারিক এবং ইন্সপেক্টার পদমর্যাদার ৩৫ জন আধিকারিক। মোতায়েন করা হয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মী এবং মহিলা পুলিশ কর্মী। শুক্রবার বিকেল থেকেই শহরের আকাশে উড়বে ড্রোন। একাধিক ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে শহরের অলিগলি সর্বত্রই। চন্দননগর এবং ভদ্রেশ্বর এলাকা সংলগ্ন প্রত্যেকটি ঘাটেই লঞ্চ পরিষেবা চালু থাকবে। ট্রেন চলবে, তবে অন্যান্য বছরের মতো এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্যে স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা থাকছে না। পুজোর কয়েক দিন বিকেল চারটে থেকে পরের দিন সকাল ছটা পর্যন্ত নো এন্ট্রি থাকবে। পুজো মণ্ডপের ভেতরে প্রবেশ করা যাবেনা।

মণ্ডপের ভেতরে একমাত্র পুরোহিত এবং ঢাকিরাই থাকবে, দর্শনার্থীদের মণ্ডপের বাইরে কমকরে পাঁচ মিটার দূরত্ত্ব বজায় রেখে প্রতিমা দর্শন করতে হবে। প্রত্যেক পুজো আয়োজকদের মণ্ডপে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। একইসঙ্গে ডিজে বা জোরে বক্স বা মাইক বাজানো যাবেনা। পাশাপাশি আয়োজক এবং দর্শনার্থী সকলের ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া দুমিটার দূরত্ত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আরও বলেছেন, এই বছর বিসর্জন শোভাযাত্রা বন্ধ রাখা হয়েছে। নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক বারোয়ারি একটা লরিতে করে প্রতিমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া ঘাটে আনবেন। সেখানে উপস্থিত পূরকর্মীরা সেই প্রতিমা নিরঞ্জন করবেন। প্রত্যেক ঠাকুরের সঙ্গে বারোয়ারীর সর্বাধিক পনেরো জনকে আসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ছট পুজোর ক্ষেত্রেও স্বাস্থ বিধি সম্বলিত একই নির্দেশিকা বলবৎ থাকছে।